ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটিতে বিনিয়োগ গ্রহণে প্রস্তুত বাংলাদেশ: সজীব ওয়াজেদ জয়

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৩
আইসিটিতে বিনিয়োগ গ্রহণে প্রস্তুত বাংলাদেশ: সজীব ওয়াজেদ জয়

নিউইয়র্ক: প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ গ্রহণে বাংলাদেশ প্রস্তুত। বাংলাদেশিই হয়ে উঠবে গোটা বিশ্বের প্রযুক্তিখাতের সবচেয়ে বড় আউট সোর্সিং ডেস্টিনেশন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ইনেশিয়েটিভ’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেছেন। তথ্য প্রযুক্তির পীঠস্থান খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিকোর সিলিকন ভ্যালিতে ইউএস-বাংলাদেশ টেকভেস্টমেন্ট শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
 
কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান মাইকেল হোন্ডা এই সম্মেলনে প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেছেন, সিলিকন ভ্যালির অনেকই এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যারের গুনগত মানেরও প্রসংশা করেন এই কংগ্রেসম্যান।

যুক্তরাষ্ট্রে বড় উদ্যোক্তা সংগঠন দ্য ইন্ডাস এন্টারপ্রেনারস (টাই) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সিলিকন ভ্যালিতে টাই এর গ্লোবাল সদরদফতরে গত ৭ মে এই টেকভেস্টমেন্ট সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

সিটি অব সানিভেইল ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়র অ্যান্থনি স্পিতলেরি, এই সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, প্রযুক্তি সচিব ড. নজরুল ইসলাম খান অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক, ইউএস প্যান-এশিয়ান আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি আজিজ আহমদ, বেসিস সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সামিটের আহ্বায়ক শামীম আহসান এবং মহাসচিব রাসেল টি আহমেদ।

টাই’র পক্ষ থেকে ছিলেন পরিচালক রাজ দেশাই, টাই-সিলিকন ভ্যালির সভাপতি ভেঙ্কটেশ শুক্লা প্রমুখ।

এছাড়াও সিলিকন ভ্যালির অন্যতম উদ্যোক্তা বিশ্বখ্যাত আউট সোর্সার ও-ডেস্ক এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট কুপার, এবং এউএস-বাংলাদেশ পার্টনারসের সিইও জয়েস ময়, ইউএস স্টেট ডিপর্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া ডেস্কের প্রধান উপদেষ্টা মিতুল দেশাই সম্মেলনে অংশ নেন।

সজীব ওয়াজেদ এসময় আরও বলেন, একটি দেশে প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের জন্য পাঁচটি বিষয় জরুরি। কার্যকর টেলিযোগাযোগ কাঠামো, বিদুৎ ব্যবস্থা, কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন, দক্ষ কর্মশক্তি ও আইটি বান্ধব পরিবেশ। এর সব কটিই এখন বাংলাদেশে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আইটি কর্পোরেট ট্যাক্স বাতিল করেছে, উঠিয়ে দিয়েছে আইটি খাতে আমদানি শুল্কও। ফলে বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ গ্রহণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশই হবে বিশ্বের প্রযুক্তি আউট সোর্সিংয়ের প্রধান গন্তব্য। এক সময় আইটি খাতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় তৈরি পোশাক খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা এখন এখানে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

ও ডেস্ক এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট কুপার বলেন, আমি নিজেও বাংলাদেশ ঘুরে এসেছি। বাংলাদেশ এরই মধ্যে আউট সোর্সিংয়ে ভালো করছে এবং আরও এগিয়ে যাবে।

টাই’র পরিচালক রাজ দেশাই বলেন, টাইয়ের সঙ্গে বেসিসের যে সেতুবন্ধন হলো তা অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি খাতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।

সম্মেলনে ‘টেকনিক্যাল পার্টনারশিপ ফর গ্রোথ’ এবং ‘টুয়ার্ডস ডিজিটাল বাংলাদেশ- ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক দুটি অধিবেশন হয়।  

সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বেসিসের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান বাংলানিউজকে বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বিনিয়োগবান্ধব করে তুলতে এ আয়োজন করা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইসিটি উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসা কৌশল এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন।

এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের আইসিটি খাতে বিশেষ করে সফটওয়্যার খাতে প্রবাসীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে। এতে দেশের রাজস্ব আয়ও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সম্মেলন আয়োজনে পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। সহযোগী পার্টনার ছিলো ইউএস-প্যান এশিয়ান আমেরিকান  চেম্বার অব কমার্স, ইউএস-বাংলাদেশ পার্টনারস, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড আর্কিটেক্টস (এএবিইএ), বিজি কন টেকনোলজিস এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

বাংলাদেশ সময় ২২০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।