ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ওয়েবসাইটের চেয়ে অ্যাপস বেশি জনপ্রিয়

মনোয়ারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
ওয়েবসাইটের চেয়ে অ্যাপস বেশি জনপ্রিয়

ঢাকা: প্রতিদিনই তথ্যপ্রযুক্তির জগতে নতুন কিছু আসছে। এ ধারাবাহিকতায় পুরোনো হয়ে যাচ্ছে ওয়েবসাইট।

বিপরীতে জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যাপস বা অ্যাপলিকেশন।

আধুনিক এ সময়ে সচেতন মানুষ মাত্রই স্মার্টফোন গ্রাহক। সবার কাছে অ্যাপস তাই নব্য এক আকর্ষণ। আর তাই সব প্রতিষ্ঠানকে অ্যাপস তৈরি করেই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হবে বলে মনে করেন অনলাইন সলিউশন ও অ্যাপস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভারই করপোরেশন ও লাব মিমোসার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জে কবির সাকিব।

সম্প্রতি রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলানিউজকে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

অ্যাপসকে আকর্ষণীয় রাখতে এর জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন দরকার। উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট নিয়ে প্রতিদিনই নতুন করে ভাবতে হবে।

জে কবির বলেন, দেশের ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করছে যে ওয়েবসাইট করলেই সব কাজ শেষ। অথবা ওয়েবসাইটের একটি অ্যাপস তৈরি করে দিলেই দায়িত্ব শেষ। বাস্তবে তা ভালো ফল বয়ে আনবে না। কারণ অ্যাপস নিয়ে সব সময় গবেষণা ও উন্নয়ন জরুরি। অ্যাপস নিয়ে অনেক ধরনের ব্যবসা করা যায়। আসল কথা হলো অ্যাপসকে একটি বিজনেস প্ল্যাটফর্ম মনে করে এগোতে হবে।

এ সময় তিনি দেশি কিছু আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, বাংলাদেশে অ্যাপসের ব্যাপারে আমার অবজারভেশন আছে। এখানে  অনেক প্রতিষ্ঠান অ্যাপস তৈরি করে মার্কেটে আনাটাকেই অ্যাপসের শেষ মনে করে। আমি মনে করি এটাই শুরু। কারণ এরপর শুরু হবে ব্যবসা ও প্রসার।

নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা অ্যাপস নিয়ে ২০১১ সালে কাজ শুরু করি। অ্যাপস নির্মাণে বহু ধরনের গবেষণা ও উন্নয়ণ কাজ করছি। আমাদের মার্কেটিং টিম দুভাবে কাজ করে। একটি ভার্চুয়াল। অন্যটি সরাসরি। ভার্চুয়াল টিম বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম, ব্লগ, অনলাইন প্লাটফর্ম, কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমাদের গ্রাহকদের অ্যাপসগুলোকে ভার্চুয়ালি প্রচার করেও পরিচিত করে।
 
এ ধরনের প্রচারণার মাধ্যমে দেশের বাইরের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে দেশি ব্রান্ডের অ্যাপসকে পরিচিত করা যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ দেশের বাইরে থাকে। আবার বাংলা ভাষায় আগ্রহী অনেক মানুষ আছে। ভারতেও বাঙালি কমিউনিটি আছে।

এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে প্রিন্ট কপি পৌঁছানো সহজ নয়। আর অনলাইন পত্রিকার একাধিক ভাষার সংস্করণ আছে। তাই অনলাইন পত্রিকা বাজার অনেক বড়।

এ মার্কেটকে আরও বড় করতে পারে অ্যাপস। অ্যাপস অ্যানড্রইড, আইফোন, উইন্ডোজ বা আরেও অনেক প্লাটফর্মের জন্য হতে পারে।

অ্যাপস নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এ কর্ণধার মনে করেন, অ্যাপসের আরেকটি বড় বাজার আছে দেশের ভেতরে। তরুণ প্রজন্মের সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। আর প্রতিদিনই স্মার্টফোনের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। এখন অনেক কম দামেও স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে।
monowa
স্যামসাং, সিমফোনি, ওয়ালটন ছাড়াও অনেকগুলো ব্র্যান্ড কম দামেই স্মার্টফোন বিক্রি করছে। আর যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তারা আইফোন বা দামি ফোন ব্যবহার করছেন। ল্যাপটপ আর ট্যাবলেটও সহজলভ্য। তাই অ্যাপসের বাজার অল্প সময়ে অপ্রত্যাশীতভাবে বড় হয়েছে।
 
জে কবির সাকিব বাংলানিউজকে অ্যাপসের ব্যাপারে নিজেদের সেবা নিয়ে বলেন, আমরা যে অ্যাপসগুলো তৈরি করি সেগুলো নিয়ে সব সময় কাজ করি। নিজেদের বিলবোর্ড করা, আইটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ, অ্যাপস নিয়ে নতুন প্রোগ্রামার তৈরি করা এবং নতুন সেক্টরে আয় করার কাজটি করি।
 
অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলানিউজে ২৪ ঘণ্টাই আপডেট নিউজ থাকে। যেখানে অন্য প্রতিযোগীরাও নিউজ আপডেট করেন তবে সময় একটু বেশি নেন। তাই বাংলানিউজ দেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের মাধ্যমে সরকারকে অনুরোধ করব ইন্টারনেটের সেবাব্যয় কমান আর গতি বাড়ান। তাহলে গার্মেন্ট সেক্টরের চেয়েও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেবে আইটি সেক্টর।

জে কবির সাকিব চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসা শুরু করেন। পরে আইটি সেক্টর ও অ্যাপস নিয়ে ল্যাব মিমোসা নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।

নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা আইফোন ও অ্যানড্রইড প্লাটফর্মে কাজ করছি। প্রথম অ্যাপস তৈরি করি ‘ঋতুর দেশ’ নামে। আইফোনে অনেকগুলো বাংলা গেমস অ্যাপস তৈরি করেছি। এরপর এস্কেবোর্প, ম্যাচমেকার, হাউটু ওয়্যার এ শাড়িসহ বাংলায় প্রায় ২০টি অ্যাপস তৈরি করেছি। অ্যাপসের মাধ্যমে বিশ্বে একটি পজেটিভ বাংলাদেশকে তুলে ধরাই আমদের স্বপ্ন।

বাংলাদেশ সময় ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
এমআইআর/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর/ সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।