ঢাকা: ফেসবুক কোনো দেশের মর্যাদা পেলে চীন, ভারতের পরই তার অবস্থান হবে। এ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগের এ ওয়েবসাইটির সদস্য সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
আর বর্তমান গতিতে সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০১১ সালের আগস্ট নাগাদ এ সংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছবে। চীন-ভারতকেও একদিন হয়ত ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতি মিনিটে রীতিমতো ধুন্ধুমার কর্মযজ্ঞ চলছে এই ‘দেশে’। এই দেশের ‘অধিবাসী’রা প্রতি মুহূর্তে কী যজ্ঞে মেতে আছেন তা জানলে মাথা ঝাঁ ঝাঁ করে ওঠে।
এক মিনিটের যজ্ঞ
ফেসবুকের দেওয়া তথ্য মতে, প্রতি মিনিটে এতে পাঁচ লাখ ১০ হাজার চারশ চারটি মন্তব্য করা হয়। আর দুই লাখ ৩১ হাজার ছয়শ পাঁচটি বার্তা আদানপ্রদান করা হয়। স্ট্যাটাস আপডেট করা হয় ৮২ হাজার পাঁচশ ৫৭ বার। ওয়ালে পোস্ট দেওয়া হয় ৭৯ হাজার তিনশ ৬৪টি। ছবি আপলোড করা হয় এক লাখ ৩৫ হাজার আটশ ৪৯টি। বন্ধত্ব অনুমোদন (ফ্রেন্ডশিপ অ্যাপ্রুভ) করা হয় ৯৮ হাজার ৬০৪ জনকে। তিন লাখ ৮২ হাজার আটশ ৬১টি পোস্ট পছন্দ (লাইক) ফেসবুকের বন্ধুরা। ৭৪ হাজার দুইশ চারটি ইভেন্টের আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়।
মনে রাখতে হবে, বিশ্বজুড়ে এসব কাজ সম্পন্ন হয় মাত্র এক মিনিটে!
হিসেব কষে দেখা গেছে, ফটো ট্যাগ, লিংক শেয়ার ও পেজ পছন্দ করাসহ এই এক মিনিটে মোট ১৭ লাখ ৮৯ হাজার সাতশ ৩৬টি কর্ম (অ্যাকশন) সম্পন্ন হয়।
ফেসবুকের হোম পেজ নীল কেন?
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ দুটি গুরুত্বপূর্ণ রং দেখতে পান না। সেগুলো হচ্ছে, লাল ও সবুজ। কালারব্লাইন্ড (বর্ণান্ধ) হওয়ার কারণে তিনি নীলকেই বেছে নিলেন ফেসবুকের জন্য। হোম পেজ থেকে শুরু করে সবখানেই নীলের ছড়াছড়ি। পরিতাপের বিষয়, জুকারবার্গের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পড়লে তিনি তার রং-ই বুঝতে পারবেন না।
টাইম অবলম্বনে রানা রায়হান।
বাংলাদেশ সময়: ডিসেম্বর ২৩, ২০১০