ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এশিয়ায় আইফোন অধরাই রইল!

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩
এশিয়ায় আইফোন অধরাই রইল! আইফোন ‘৫সি’ মোটেও সাশ্রয়ী নয়, হতাশ এশিয়ার আইফোন ভক্তরা

সুদীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখা মিলল নতুন আইফোনের। একটি নয়, একই সঙ্গে দুটি আইফোন।

একটি আইফোন ৫এস। অন্যটি আইফোন ৫সি। তবে আইফোন ভক্তদের কাছেও এখনও এ দুটি পার্থক্য খুব একটা পরিষ্কার নয়। এমনকি দামের যে পার্থক্যটা হওয়ার কথা ছিল তাও সেভাবে সুস্পষ্ট নয়।

এদিকে কমদামি প্রচার করে ৫৪৯ ডলারে (৪৬৯ ইউরো) আইফোন ৫সি এশিয়ার বাজারে কতটা গ্রাহক টানতে পারবে তা এখন দেখার বিষয়। এ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আইফোন বিক্রির ভালো বিপণন চ্যানেলও তৈরি হয়নি। এসব বিবেচনায় নিয়ে এশিয়া জয় যতটা সহজ হওয়ার কথা ছিল তেমনটা হবে না বলেই মনে করছেন বাজার গবেষকেরা। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

আইফোন ‘৫সি’ মডেলের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে ৪ ইঞ্চি রেটিনা ডিসপ্লে, এ৬ প্রসেসর (আইফোন ৫ মডেলের সমতুল্য), ৮ মেগাপিক্সেল আইসাইট ক্যামেরা আর অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে আছে আইওএস৭। এদিকে ২৯.৯৯ ডলারে পাওয়া যাবে আইফোনের রঙিন কেস। ফলে চাইলেই বদলে নেওয়া যাবে পুরোনো আইফোনর চেহারা।

এ ছাড়াও নেটওয়ার্ক সুবিধায় আছে মাল্টিব্যান্ড অ্যান্টিনা। আর অবয়ব তৈরি করা হয়েছে পলিকারবোনেট ফ্রেমে। ওপরের অংশে প্ল্যাস্টিকের আবরণ থাকলেও এর ঠিক নিচেই স্টিলের পাত দিয়ে অবয়ব আবৃত্ত করা হয়েছে।

আইফোন ৫সি প্রসঙ্গে অ্যাপলের প্রধান ডিজাইনার সার জনাথন ইভ বলেন, প্ল্যাস্টিক এবং অ্যালুমিনিয়ামের সংমিশ্রণে তৈরি এ মডেল সহজেই আইফোন ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের সামর্থ্য রাখে। রঙের বৈচিত্র্যে এসেছে ৫টি ভিন্ন রঙ। এ মডেল থেকে ফোরজি নেটওয়ার্ক সুবিধা উপভোগ করা যাবে।

এদিকে গার্টনার গবেষণার সহ-সভাপতি ক্যারোলিনা মিলানেসি বলেন, আইফোন ৫সি নিয়ে দামের সাশ্রয়ী মনোভাবের দৃষ্টান্ত গড়তে পারেনি অ্যাপল। এ অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মায়ার।

স্টিভ জবস নেই। তবে আইফোন ৫এস হচ্ছে স্টিভ জবসের নির্দেশনা দেওয়া সবশেষ মডেল। স্মার্টফোনের আর্বিভাবে এইচপি ও ডেল প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার বাজারে ধস নামে। আধুনিক ঘরানার স্মার্টফোন দিয়ে কম্পিউটারের অনেক কাজকে সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব।

এ বছরেই অ্যাপল ১৭ কোটি স্মার্টফোন বিক্রির লক্ষ্যামাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ মুহূর্তে অ্যাপলের সঙ্গে বাজার লড়াইয়ে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন স্যামসাং। চীনের বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরিতে অ্যাপল এবার ৫সি নিয়ে মাঠে নেমেছে।

এশিয়ার বাজারে অ্যাপল এবার জাপানের বাজারকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে জাপানের বাজার তৈরিতে শুধু এনটিটি ডকোমোই অ্যাপলের ভরসা। এ বাজার কৌশল দিয়ে এশিয়ার বাজারে অ্যাপল কতটা এগিয়ে যাবে তা সময়ের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময় ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।