ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পরিকল্পনার মাধ্যমে জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে

স্টাফ ও রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৩
পরিকল্পনার মাধ্যমে জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে

রুয়েট থেকে: শিক্ষাক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। কেবল আকাশচুম্বি মেধাবী হলেই হবে না, দেশপ্রেম নিয়ে ব্যক্তি নয় জাতীয় স্বার্থে কর্মজীবনে তা কাজে লাগাতে হবে।

তবেই একটি সুখি, সুন্দর, সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।
 
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) দিবস উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রুয়েট অডিটোরিয়ামে দুইদিনব্যাপী আইপিই দিবসের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সভাপতি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. মোশাররাফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সামিট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন রুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মর্তুজা আলী, অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কন্সালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, অ্যানার্জিপ্যাক কনফিডেন্স পাওয়ার ভেনচার লিমিটেডের হেড অফ অপারেশনস প্রকৌশলী এ এম মাঈনুদ্দীন খান (ফারুক)।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যের বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কন্সালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার বলেন, দেশে বর্তমানে মেধাবী শিক্ষার্থীর অভাব নেই। কিন্তু তারা সঠিকভাবে অর্জিত সেই মেধাকে কর্মজীবনে কাজে লাগাচ্ছে না। ফলে জাতীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।  

তিনি বলেন, একজন শিক্ষিত মানুষ দেশের জন্য যা ক্ষতি করবে একজন অশিক্ষত লোক সেই ক্ষতি করতে পারবে না। তাদের চেষ্টা করতে হবে অর্জিত মেধা যেন অপচয় না হয়ে দেশের কাজে লাগে।
 
তিনি আরও বলেন, যারা  প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তারা সবাই মেধাবী। মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন করবেন, যোগ করবেন নতুন মাত্রা। আর দেশকে উন্নয়ন করতে হলে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

এ সময় তিনি বাংলানিউজ- এর শুরুর প্রেক্ষাপট এবং অনলাইন জগতের পথিকৃত ও এই নিউজ পোর্টালের প্রধান সম্পাদক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এক ঝাঁক তরুণ কর্মীবাহিনী নিয়ে সংবাদ ক্ষেত্রে যে নতুন ধারার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, আলমগীর হোসেন সেই ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকার জনক। তার হাত দিয়ে দেশের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজের জন্ম হয়।

কিন্তু আর্থিক কারণে ওই সময় বিডি নিউজ চালাতে পারেন নি। পরে তিনি বাংলানিউজের হাল ধরেন।

তিনি বলেন, খুব অল্প দিনে দেশের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম হিসেবে বাংলানিউজ দেশে-বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এখন বাংলানিউজ দেশের সব অনলাইন মিডিয়াকে ছাড়িয়ে শীর্ষে অবস্থান করেছে। বর্তমানে এর প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা ৮ কোটির বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রযুক্তিপ্রিয় বিশ্বে জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ সব সময় রুয়েটের পাশে থাকবে। এ ছাড়া রুয়েটের যে কোন উদ্ভাবনী কাজ বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বাংলানিউজ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইপিই বিভাগের প্রভাষক মহিবুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুল করিম, অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং- এর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৩
এসএস/জেএ/এমআইপি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।