ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত দেশের অন্যতম কমপিউটার পণ্য বিপণন কেন্দ্র মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল আইসিটি’ প্রদর্শনী। আয়োজক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এ প্রদর্শনীতে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ল্যাপটপ এবং ডিজিটাল পণ্য এবং সেবাকেন্দ্রিক সব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এরই মধ্যে দশনার্থীদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে বলে এ প্রদর্শনীর আহ্বায়ক তৌফিক এহেসান বাংলানিউজকে জানান।
২৯ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল আইসিটি’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিটিআরসির চেয়্যারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ, বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব উল ইসলাম, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আমির হোসেন খান, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির মহাসচিব মজিবুর রহমান স্বপন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এসএ কাদের কিরণ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা জেলা কমান্ডার ও প্রাক্তণ সংসদ সদস্য মোস্তফা মহসীন মন্টু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি এটিএন বাংলা সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার করেছে। আর রেডিও টুডে প্রতি ঘণ্টায় আপডেট সম্প্রচার করছে। ‘প্রযুক্তির আলোয় বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে নয় দিনব্যাপী কমপিউটার এবং ডিজিটাল পণ্য প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের জন্য সব ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের তৃতীয় থেকে ১০ তলা পর্যন্ত মোট ৯৬ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। পুরো প্রদর্শনী প্রাঙ্গনজুড়ে কেন্দ্রীয় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকবে বলে তৌফিক এহেসান বাংলানিউজকে জানান।
এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০০টি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ মূল্যছাড় এবং উপহারসহ হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশেষ কর্মসূচির প্রসঙ্গে এবারের ‘ডিজিটাল আইসিটি’ প্রদর্শনীর আহ্বায়ক তৌফিক এহেসান বাংলানিউজকে বলেন, এবারের আয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক কর্মসূচি বেশি থাকছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের পক্ষে অনলাইনে ভোটিং, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রক্তদান, শিক্ষার্থীদের বির্তক প্রতিযোগিতা, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ভিত্তিক সেমিনার এবং প্রবেশ টিকিটের উপর আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র অন্যতম।
উল্লেখ্য, এ প্রদর্শনী আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন প্রদর্শনীতে ৫ ঘণ্টা বিরতিতে প্রবেশ টিকেটের উপর র্যাফেল ড্র করা হবে। আরও থাকবে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মডেল কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শনী, ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির সহায়তায় ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে থাকবে ওয়াইফাই জোন এবং দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে তা ব্যবহার করতে পারবেন।
এবারের প্রদর্শনীতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর। এ প্রদর্শনীতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। এবারও শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ প্রদর্শনী রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। প্রদর্শনীর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর তারহীন ইন্টারনেট সেবাদাতা কিউবি। গ্লোড স্পন্সর স্যামসাং এবং তোশিবা। সিলভার স্পন্সর আসুস, গেটওয়ে, নরটন এবং হায়ার।
উল্লেখ্য, ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এ প্রদর্শনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৪৯, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০