ঢাকা: টিনএজারদের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ফেসবুক। এজন্য প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন আনবে তারা।
একটি ব্লগপোস্টে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে টিনএজারদের সংখ্যা অনেক। এর মাধ্যমে তারা সমাজের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে, নিজেদের সক্রিয় রাখছে অথবা কোনো একটা নতুন চলচ্চিত্র সম্পর্কে তাদের ভাবনার প্রকাশ করছে, তারা শুনতেও চাচ্ছে। ১৩ থকে ১৭ বছর বয়সীদেরও ফেসবুকে সবার সামনে পোস্ট করার ইচ্ছে রয়েছে। তাই আজই শুরু হোক।
এর আগে টিনএজাররা ফেসবুকে কোনো মন্তব্য, ছবি কিংবা অন্যকিছু তাদের বন্ধু ও বন্ধুর বন্ধু ছাড়া অন্য কারও সাথে শেয়ার করতে পারতো না।
ফেসবুক জানিয়েছে, এখন টিনএজারদের অ্যাকাউন্টে ‘ফলো’ ফিচার সক্রিয় হবে যার মাধ্যমে তাদের যেকোনো পাবলিক পোস্ট অন্যদের নিউজ ফিডে চলে যাবে। এখন অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের মতো ফেসবুকের মাধ্যমে তারা তাদের চিন্তাকে আরও অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। তারা যাতে তাদের পরিচিতজনদের সাথে যুক্ত হতে পারে ও সহজেই মেসেজ দিতে পারে এজন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরেকটি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টুইটারের সাথে পাল্লা দিয়েই এ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক। যাতে সব বয়সের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের মাধ্যমেই তাদের সব ধরনের ভাবনা প্রকাশ ও শেয়ার করতে করে।
তারা পাবলিক পোস্টে নতুন পুল যোগ করে নিজেদের আয় বাড়াতে সৃজনশীল বিজ্ঞাপনী কৌশলও গ্রহণ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক সামাজিক মাধ্যমটি জানিয়েছে, আমরা টিনএজারদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছি। এজন্য তারা সবার সঙ্গে কোনো কিছু শেয়ার করার আগে একটি সংকেত পাবে।
টিনএজারদের টুইটার ও টাম্বলারের মতো অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। কিন্তু ফেসবুকের ক্ষেত্রে এটা ছিলো। ১৩ বছরের নিচে হলে সাধারণভাবে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতো না। কমবয়সী কেউ অ্যাকাউন্ট খুললে ফেসবুক ধরে নিতো কমপক্ষে তার একজন অবিভাবকের এ ব্যাপারে অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এটা কোনোভাবে যাচাই করা হতো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৩
কেএইচকিউ/জিসিপি