ইন্টারনেট ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সে যুক্ত হচ্ছে নতুন ফিচার। এর নাম ‘ডু নট ট্র্যাক’।
এ ফিচারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের গতিবিধিতেও লক্ষ্য রাখা সম্ভব হবে। ‘ডু নট ট্র্যাক’ ফিল্টার ব্যবহারে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা মাত্রই এটি বাণিজ্যিক সাইটের বিরক্তিবার্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।
এ ফিচার ব্যবহারকারী প্রতিটি নতুন সাইটে প্রবেশের সময় স্বয়ংক্রিয় সতর্কবার্তা পাবেন। ফলে বিপত্তিকর সাইটগুলো থেকে অনলাইন পাঠকদের মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে।
তবে এ সেবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিটি ওয়েবসাইটকেন্দ্রিক মালিকানার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভরশীল। ব্যবহারকারীর স্পর্শকতার তথ্য বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার না করলে এ প্রতিবন্ধকতা থেকে ওয়েবসাইটগুলো সহজেই নিজেদের ছাড়িয়ে নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মাইক্রোসফটের ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারেও এ ধরনের ফিচার চালু করা হয়। কিন্তু এ সেবা চালু করার অল্প ক’দিনের মধ্যেই তা নিস্ক্রিয় করতে হয়। এর কারণ এ কৌশল অনলাইনভিত্তিক বিজ্ঞাপনী ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
এ মুহূর্তে গুগলও তাদের ক্রোম ব্রাউজারে এ ধরনের ফিল্টার যুক্ত করতে কাজ করছে। তবে এটি ব্রাউজারে বিল্টইন অবস্থায় পাওয় যাবে না। এছাড়াও এ সেবা গ্রহণে তৃতীয় (থার্ড পার্টি) সফটওয়্যারের প্রয়োজন হবে।
এ সময় ব্যক্তি নিরাপত্তার প্রশ্নে মজিলা ব্রাউজার অনলাইন ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। তবে অনলাইন বাণিজ্যের এ সুসময়ে মজিলার বিজ্ঞাপন বিরোধী এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে এ প্রশ্নটা রয়েই যাচ্ছে।
এ উদ্যোগটি অনলাইন ব্যবসায়ীদের মজিলা বিরোধী করে তুলবে। এছাড়া ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিতথ্য সংগ্রহের সুযোগটাও হাতছাড়া করতে চাইবে না তারা।
ফলে অনলাইন সংস্কৃতিতে নিরবিচ্ছিন্ন প্রবেশের অধিকারটা হারাতে ব্যবসায়ীরা নিঃসন্দেহে ঘোর আপত্তিই জানাবে এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। তাই এ সেবার সফলতা নির্ভর করছে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩৩২, জানুয়ারি ২৬, ২০১১