বিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ এবার পড়েছেন হ্যাকারদের পরামর্শের কবলে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে জুকারবার্গের ওয়েবসাইটের ফ্যানপেজটি হ্যাকারদের আক্রমণের কবলে পড়ে। এখানে হ্যাকাররা জুকারবার্গের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ বার্তা ছেড়ে যায়।
হ্যাক সাইটে জুকারবার্গকে পরামর্শ দেওয়া হয়, ফেসবুকের অর্থের প্রয়োজনে ব্যাংকে যাওয়ার বদলে ফেসবুক কেন তাদের ব্যবহারকারীদেরকেই সামাজিক ব্যবসার আদলে অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে না।
ফেসবুক প্রয়োজনে সামাজিক ব্যবসার মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের অর্থকৌশল অনুসরণ করতে পারে। তারা এ বার্তায় অন্যদেরও অভিমত জানতে বলেছেন। এছাড়া বার্তাটিতে তারা ড. ইউনূসের তত্ত্বটি জানতে একটি লিঙ্কও জুড়ে দিয়েছেন।
ক্ষুদে এ বার্তাটি প্রকাশ মাত্রই ১৮০০ বার ‘লাইক’ অপশন হিসেবে চিহ্নিত হয়। অন্যদিকে তাৎক্ষণিক মন্তব্যের ঘরে জমা পড়ে ৫০০ এরও বেশি পরামর্শ।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সোপহস এর জেষ্ঠ্যে প্রযুক্তি উপদেষ্টা গ্রাহাম ক্লুলিই জানান, এ মুহূর্তে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সংখ্যা কম বা বেশি সে বিবেচনায় না গিয়ে গ্রাহকদের ব্যক্তিতথ্য নিরাপত্তায় আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
জুকারবার্গ নিজেই যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে অন্য ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
তবে অপ্রত্যাশিত এ ঘটনার প্রকৃত চিত্র এখনও সুস্পষ্ট নয়। এ নিয়ে বিশ্লেষকরা অনেক ধরনের মন্তব্যই করছেন। যেমন জুকারবার্গের পাসওয়ার্ডের অসতর্কতা, ফিশিং নাকি কোনো, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস (তারহীন) নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সময় কোনো অনৈতিক প্রবেশাধিকারের ঘটনা ঘটেছে।
তবে ঘটনা যাই হোক, এটি এমন একটি সময় ঘটল যখন ব্যবহারকারীদেরকে নিরাপত্তার দিকটি আরও জোড়ালো করতে কাজ করছিল ফেসবুক। উল্লেখ্য, এ ঘটনার একদিন আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের কবলে পড়ে।
এছাড়া এক সপ্তাহ আগে নতুন একটি ফিচারের মাধ্যমে থার্ড পার্টি কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি সংরক্ষণের সুযোগ অকার্যকর করে দিয়েছিল ফেসবুক।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১