অনলাইন বিশ্ব ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু এখানে নিরাপদ থাকছে না ব্যক্তিতথ্য।
দ্য ইনফরমেশন কমিশন (আইসিও) সূত্র মতে, অনলাইনমাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তায় ব্যবহারকারীদের নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। কারণ বিশ্বব্যাপী অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যক্তিতথ্য প্রকাশের ভীতি স্পষ্টই ফুটে উঠেছে আইসিও পরিচালিত জরিপে।
উল্লেখ্য, শতকরা ৯২ ভাগ ব্যবহারকারীর বিশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের ব্যক্তিতথ্য অনলাইনে নিরাপদ রাখার বিষয়ে অযত্নশীল।
এছাড়াও জরিপে ৫ জন ব্যবহারকারীর ৩ জনই মনে করেন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো এ মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আর ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই তথ্য নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
কমিশনার ক্রিস্টোফার গ্রাহাম জানান, এরই মধ্যে জরিপের প্রধান দিকটি বিবেচনায় এনে উদ্বিগ্নদের আশ্বস্ত করতে নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে সামাজিক সাইটগুলোকে আরও বেশি সুরক্ষিত করা সম্ভব।
অনলাইনে ব্যক্তিতথ্য নিবন্ধনের আগে তারা চিন্তা করতে এবং কিছু ভুল হচ্ছে কিনা তাও বুঝতে পারবে। গত বছর যুক্তরাজ্যের সংসদে এ বিষয়ে যোগাযোগমন্ত্রী এড ভাইজি ‘এ ব্যবসায় জনতথ্য অন্তর্ভুক্ত নেই’ বলে দাবি করেন।
এরই মধ্যে আইসিও অনলাইন ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপত্তায় ৪০ পৃষ্ঠার ‘পারসোনাল ইনফরমেশন টুলকিট’ দিকনির্দেশনামূলক প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল ফ্রড অথরিটি’ সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে অনলাইন প্রতারণার ঘটনায় ২৭০ কোটি পাউন্ড অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ভূয়া পরিচয়দাতারা। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের ১৮ লাখ অনলাইন ব্যবহারকারী।
এর অর্থ গড়ে প্রতিটি আক্রান্ত ব্যবহারকারীর কাছ থেকে বছরে ১ হাজার ইউরো হাতিয়ে নিচ্ছে অনলাইনের দুষ্টচক্র। আইসিও সূত্র এমন আভাসই দিচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১