মিশরজুড়ে চলছে সরকার ও জনতার মধ্যে টানটান উত্তেজনা। বিক্ষুব্ধ জনতার এ বিদ্রোহের কারণ রাষ্ট্রপতি হোসনি মোবারকের দীর্ঘ ৩০ বছরের শাসন ব্যবস্থার অবসান।
আর গণমাধ্যমের গণতন্ত্র হননেন কারণে এ বিদ্রোহ পেয়েছে বাড়তি ইন্ধন।
অস্থিরতার মূল কারণ হচ্ছে, এ মুহূর্তে দেশটির রাষ্ট্রপতি হোসনি মোবারক শাসনআমলের চিরবিদায়। আর বিভিন্ন ঘটনার জের ধরে এ মুহূর্তে প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ জনগণের দাঙ্গা এবং সংঘর্ষের নিত্যচিত্র এখন বিশ্ববাসী ঘৃণার চোখে করছে।
উত্তেজনার এমন মুহূর্তে গণমাধ্যমাধ্যমগুলো একে একে বন্ধ করে দিচ্ছে মিশর সরকার। সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম টুইটার হয়ে উঠেছে স্বাধীন মতপ্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু গণমাধ্যমের এ অবাধ প্রকাশকেও দেশটির সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এছাড়াও জনপ্রিয় আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের মিশরের গণবিদ্রোহের খবরটি দ্রুতই ছড়াতে থাকে। ফেসবুক সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি মিশরীয় সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণের প্রতিবাদের মুখে এ সাইটের প্রবেশের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। ফেসবুক মুখপাত্র জিলিয়ান ক্যারল সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে ইমেইলে এ বিষয়ে অবগত করেন।
বহির্বিশ্বে এ সংবাদের প্রকাশ চাপা রাখতে এবং দেশের আভ্যন্তরীণ তথ্যপ্রবাহ বন্ধে এসএমএস সেবা বন্ধ কওে দেওয়া হয়। ক্ষমতাসীন সরকারের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের এটিও অন্যতম কারণ বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। এর আগে সরকার বিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী দলীয় নেতাদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার অভিযান এখনও চলছে।
আর সহসাই দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা চালু না হলে গণবিদ্রোহের মাত্রা আরও জটিল হয়ে পড়বে। উল্লেখ্য, টেক সেভি এর প্রতিবাদকারীরা মিশরীয় ইন্টারনেট সেন্সশরশীপের জন্য কাজ করছে।
এরই মধ্যে ইন্টারনেটে গণমত প্রকাশে বিকল্প সফটওয়্যার ও অনলাইন প্রক্সি সার্ভার ছাড়াও উন্মুক্ত ভিপিএন সেবা ব্যবহার করছে বিদ্রোহীরা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১