ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইভেন্ট আপডেট :.

শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১১
শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো

ঢাকায় শুরু হয়েছে সফটওয়্যারকেন্দ্রিক দেশের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে আয়োজক সূত্র জানিয়েছে।

তবে উদ্বোধনের পরও কিছু কিছু স্টলে সাজসজ্জার কাছ চলেছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) উদ্যোগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী ‘সফটএক্সপো২০১১’ প্রদর্শনীর পর্দা উঠেছে। প্রদর্শনী ঘুরে লিখেছেন বাংলানিউজের আইসিটি এডিটর সাব্বিন হাসান।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে ‘সফটএক্সপো২০১১’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এবং বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান, মহাসচিব ফোরকার বিন কাশেম, সহসভাপতি ফারহানা এ. রহমান এবং এবারের ‘সফটএক্সপো২০১১’ এর আহ্বায়ক একেএম ফাহিম মাশরুর ও সহআহ্বায়ক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন উপস্থিত ছিলেন।

এ অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিপিআইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী এন. ইসলাম, রিভ সিস্টেমসের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা খন্দকার রায়হান হোসেইন এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবসা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

এবারের প্রস্তুতি সম্পর্কে বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান বলেন, এবারের আয়োজন আকার, আয়তন আর আয়োজন সবদিক থেকেই অতীতের সব আয়োজনকে ছাপিয়ে যাবে। আভ্যন্তরীন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট এবং মতবিনিময়ে এবার বসবে অনেকগুলো ‘ম্যাচমেকিং’ বৈঠক।

এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষীক বাণিজ্যিক স্বার্থেও সুবিধা যাচাই করার উন্মুক্ত সুযোগ পাবেন। এর ফলে দেশের সফটওয়্যার খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

আয়োজন প্রসঙ্গে বেসিস জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর জানান, প্রযুক্তিনির্ভর তারুণ্যকে এবার বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতিযোগিতার সংখ্যাও এবার বেশি।

তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পকে দেশি-বিদেশি করপোরেট বিশ্বের কাছে নিয়ে যেতে এবারের সফটএক্সপোকে বড় ধরনের মিলনমেলায় পরিণত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তরুণ সফটওয়্যার উদ্ভাবকদের উৎসাহিত এবং কাজের সুযোগ করে দিতে এবারের সফটএক্সপোর শুরুর অনেক আগে থেকেই কয়েকটি প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে সাড়াও মিলেছে অপ্রত্যাশিত।

এবারের প্রদর্শনীতে বাড়তি উন্মাদনায় আছে ‘জব ফেয়ার‘। সফটএক্সপোর সময় চাকরি প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে একই সময়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদনকারীদের নির্বাচিত করা হবে।

জব ফেয়ার প্রসঙ্গে আহ্বায়ক একেএম ফাহিম মাশরুর বাংলানিউজকে জানান, এ পর্যন্ত দেশের স্বনামধন্য ১০টি (প্রায়) প্রতিষ্ঠান শতাধিক চাকরির অফার করবে বলে জানিয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তিনি আরও জানান, এখন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিকৌশলী তরুণরা ঘরে বসেই ২ থেকে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারছে। এটি এখন বাস্তব। এ তথ্য দেশের সফটওয়্যার খাতের জন্য সম্ভাবনাময়।

এরই মধ্যে বৃহৎ এ প্রদর্শনী সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষে এ কথা জানিয়েছেন সফটএক্সপো২০১১ এর সহআহ্বায়ক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন।

এছাড়াও পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে সব ধরনের সফটওয়্যার, ই-কমার্স, ই-গভর্ন্যান্স এবং আউটসোর্সিং ছাড়াও বিনোদনভিত্তিক ডিজিটাল তথ্য এবং সেবাকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাবনাময় প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করবে।

সফটএক্সপোর আহ্বায়ক একেএম ফাহিম মাশরুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ইন অ্যাকশন’ স্লোগানে পাঁচ দিনব্যাপী সফটওয়্যার প্রদর্শনীতে দর্শনার্থী এবং দেশি সফটওয়্যার উন্নয়ক এবং উদ্ভাবকদের জন্য থাকছে দিকনিদের্শনামূলক এবং সফটওয়্যারভিত্তিক প্রায় ২০টি সেমিনার এবং মতবিনিময় সভার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

একেএম ফাহিম মাশরুর বাংলানিউজকে জানান, দেশি সফটওয়্যার শিল্পের মানোন্নয়নে বৈচিত্র্য, বহুমাত্রিক কারিগরি কলকৌশল প্রদর্শন, ভিন্নধর্মী উদ্যোগ আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবারে নেওয়া হয়েছে তুলনামূলক সর্বাধিক ইভেন্ট।

এছাড়াও দেশের সফটওয়্যার শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নে দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একই ছাদেও নীচে আসতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।     

উল্লেখ্য, এবারের সফটএক্সপো প্রদর্শনীতে ইউরোপের ১০টি আইটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগ উদ্দেশ্য সফর করবেন বলে বেসিস সূত্র জানিয়েছে।

এবারের বৃহৎ সফটএক্সপোকে মোট ৭টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজনেস সফটওয়্যার, ই-কমার্স, ই-গভর্ন্যান্স, কমিউনিকেশন, মোবাইল ফোনভিত্তিক অ্যাপলিকেশন, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড অ্যানিমেশন এবং আউটসোর্সিং অন্যতম।

সফটএক্সপো২০১১ এর সহআহ্বায়ক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন বাংলানিউজকে জানান, এবারের সফটএক্সপোতে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে প্রবেশের পাবেন। শিক্ষার্থীদের জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।

সফটএক্সপো২০১১ এর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর গ্রামীণফোন আইটি। গ্লোড স্পন্সর রিভ সিস্টেম। কোস্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক এবং মাইক্রোসফট। এরই মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেসিস চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে।

উল্লেখ্য, এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। আগ্রহীরা এ সফটএক্সপো সম্পর্কে www.softexpo.com.bd এ সাইটে তথ্য পাবেন। সাইটটি নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।