এ পর্যন্ত মিশরীয় সরকার ও জনতার বৈপীরত্য পরিস্থিতি নিয়ে অনেক প্রতিবেদনই হয়েছে। এসব প্রতিবেদনের মূল বিষয়টি হোসনে মোবারকের শাসনামলের অবসান।
গত ক’সপ্তাহ ধরে মিশরীয়রা হোসনে মোবারকের শাসন নিয়ে চূড়ান্ত অনাস্থা প্রদর্শন করে আসছে। এ আন্দোলনে সামাজিকমাধ্যম সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করায় মিশরীয় সরকার টুইট সাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এমনকি দেশটির জনতার মতপ্রকাশের পথকে রুদ্ধ করতে উন্মুক্ত গণমাধ্যম ইন্টারনেট সেবাও নিষিদ্ধ করে। এরপর সামাজিক সাইট ফেসবুকও বন্ধ করে দেওয়া হয়। একে একে সব মাধ্যম রুদ্ধ করলেও স্বেচ্ছাচারী সরকারের শাসন অবসানের আন্দোলন একটুও থেমে যায়নি।
এমনকি সে দেশের সেভি নামক অনলাইনভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানও দু:শাসনের মুখে পতিত হয়নি। পারেনি তাদের সেবামূলক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে। এ প্রতিষ্ঠানের সেবা মাধ্যমে জনতার ব্যাপক বিরোধ দমনের মতবাদ উঠে আসে।
এ মুহুর্তে স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নিয়েছে ভিন্ন পন্থা। গুগল মিশরীয়দের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ব দুয়ারে ঐক্যমত প্রকাশের সুযোগ করতে বেছে নিয়েছে ফোন লাইন। এ মাধ্যমের ব্যবহারে ভয়েস মেইল ব্যবহার করার সুযোগ অব্যাহত থাকে।
উল্লেখ্য, গুগল ও টুইটারের প্রকৌশলীদের যৌথ উদ্যোগে নতুন সেবা চালু করা হয়। এটি ভয়েস মেইলের প্রযোজ্য হবে। ভয়েস মেইল অডিও ফাইল হিসেবে মেশিনে রুপান্তির হওয়ার পরে হ্যাসট্যাগে অর্থাৎ #ঊমুঢ়ঃ কোডে পোস্ট হবে।
এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই সবশেষ সংবাদ এবং মতামত টুইটারে যুক্ত করা সম্ভব। এ সেবা পাওয়া যাবে নির্ধারিত কিছু আন্তর্জাতিক ফোন নম্বরে। উক্ত নাম্বারগুলো হচ্ছে +১৬৫০৪১৯৪১৯৬, +৩৯০৬৬২২০৭২৯৪ এবং +৯৭৩১৬১৯৯৮৫৫।
একই নম্বর দিয়ে ভয়েস মেইলও করা সম্ভব। ইন্টারনেটে #Egypt কোডটি তথ্য খোঁজার জন্য এবং টুইট ব্যবহারকারীরা twitter.com/speak2tweet এ সাইটে প্রবেশে করে টুইট মন্তব্য করতে পারবেন।
ফলে মিশরের অধিবাসীরা মতপ্রকাশ ছাড়াও তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রেরণের সুযোগ থেকে আপাতত বঞ্চিত হচ্ছেন না। অন্যদিকে মিশর সরকারের এ সেবা বন্ধের অনৈতিক চর্চাও ব্যর্থ হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১