ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুল্ক ও কর মওকুফ চায় আইসিটি খাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪
শুল্ক ও কর মওকুফ চায় আইসিটি খাত

ঢাকা: সকল প্রকার আমদানি পণ্যসহ ডিজিটাল শিক্ষা প্রকরণের ওপর শুল্ক এবং কর মওকুফ সুবিধা চায় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।

শনিবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বাজেট সংলাপে এসব দাবি জানানো হয়।



বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আএসপিএবি) যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে।

এতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ, বেসিস’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, আএসপিএবি সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জুসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাবেক নেতারা।

সভায় তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে আয়কর অব্যহতির সময়সীমা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি নির্ভর সেবার ওপর ধার্য্যকৃত মূল্য সংযোজন কর সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা, ইকর্মাস ভিত্তিক পণ্য ও সেবা লেনদেন ভ্যাটের আওতায় না আনা, সফটওয়্যার ও আইসিটি খাতের কোম্পানিগুলো বাড়ি ভাড়ার মুসক প্রত্যাহার করা, আয়কর রিটার্ন ও সার্টিফিকেটের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া, আইটি শিল্পর উন্নয়ন তহবিল ও কর্তৃপক্ষ গঠনে অর্থ বরাদ্দ, মুসক ব্যবস্থায় অটোমেন প্রক্রিয়া চালু ও আইটি পরামর্শকে প্রযুক্তি সেবার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বিসিএস’র দাবিগুলো হচ্ছে, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া, বন্দর সুবিধা, কর অবকাশ, সরকারি অর্থায়ন, সব প্রকার ভ্যাট শূন্যে নামানো, বিলাসী পণ্য ভেবে আরোপ করা কর প্রত্যাহার করা। এ ছাড়াও আলাদাভাবে ৭শ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় সংগঠনটি।

আএসপিএবি তাদের ইন্টারনেট সেবা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, ব্রডব্যান্ড সেবার মানউন্নয়ন ও দাম কমানো, করপোরেট কর ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমানোর জন্য মন্ত্রীকে সুপারিশ করার অনুরোধ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি সংশ্লিষ্ট সকল খাতের দাবিগুলো রাজস্ব বোর্ড ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হবে। তবে এখাতের উন্নয়ন ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এসব সংগঠনের আরো সৃষ্টিশীল কার্যক্রম করা প্রয়োজন।

কম্পিউটার, ট্যাব ও ফাইবার অপটিক স্থাপনে আগ্রহীদের আর্থিকসহ সব প্রকার সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।