সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান একটাটেক বাংলাদেশের স্কুল-শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের জন্য নিয়ে এসেছে ‘ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম’। এই পদ্ধতি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের সঠিক উপস্থিতি নিরূপণ করতে পারবে।
ইতোমধ্যেই ইংলিশ মিডিয়াম অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রতিষ্ঠানটির পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ অটোমেশন করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সিস্টেম চালু হলে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবে।
একটাটেকে কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশি ও নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ সাইফুর রহমান পল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় অভিভাবকগণ এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাবেন। এছাড়া গাড়িতে বাসায় ফেরার সময় কোথায় অবস্থান করছে তা র্ট্যাকিং করতে পারবেন। ডাটা সার্ভারে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক পারফর্মেন্স তাৎক্ষণিক দেখা যাবে এবং সিকিউরিটি ডিভাইসে কার্ড পাঞ্চের সময় সঠিক ব্যক্তিই ডিভাইসটি ব্যবহার করেছে কিনা তা ভিডিও অপশনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম পদ্ধতিতে কয়েক ভাবে অ্যাটেন্ডেন্স নেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আইডি কার্ডের মাধ্যমে এটি পরিচালনা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য নির্দিষ্ট কোড নাম্বারে আইডি কার্ড হতে হবে।
সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে দেশের ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি একটাটেক’র এই স্কুল অ্যাটেন্ডেস সার্ভিসটি বাজারজাতকরণে আগ্রহী হয় তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।
বাংলাদেশে একটাটেকের দক্ষিণ এশিয়ার হেড কোয়ার্টার স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটাটেকের এই ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে info@actatek.com ঠিকানায় মেইল করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪