বিশ্বজুড়ে সবুজ প্রকৃতিবান্ধব বিপ্লবের স্লোগান হচ্ছে ‘গ্রিন টেকনোলজি’। এ বিপ্লবের নতুন অভিযাত্রী এবার ফেসবুক।
নতুন এ প্রকৃতিবান্ধব সার্ভার ব্যবস্থাপনার কারণে ফেসবুক আগের তুলনায় শকতরা ৩৮ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবে। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাপ কমবে।
এছাড়াও নিত্যনতুন ডাটা সার্ভার ব্যবস্থাপনার কলকৌশলে আসছে নানা ধরনের বিধিনিষেধ। অন্যদিকে ডাটা সার্ভার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে ফাইট ক্লাব অন্যতম।
উল্লেখ্য, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আরও তিনটি সামাজিক যোগযোগের সাইট গুগল, টুইটার এবং অ্যামাজন এ মুহূর্তে প্রকৃতিবান্ধব সার্ভার ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করেছে। এ তুলনায় ফেসবুক কিছুটা দেরিতেই যাত্রা শুরু করল বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।
পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গ্রিনপিস সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে পুরো বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদা পৌঁছবে ২ ট্রিলিয়ন কিলোহার্টজে। এ চাহিদার অনেকাংশই ডিজিটাল সমাজ ব্যবস্থাপনার খোরাক মেটাবে।
সুতরাং এ খাতে বিদ্যুতের চাহিদার লাগাম এখনই টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে তা আরও বড় ধরনের বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণ হয়ে উঠবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ‘গ্রিন টেকনোলজি’ বিপ্লবের সূত্রপাত।
এরই মধ্যে ফেসবুক ‘ওপেন কমপিউটার প্রজেক্ট’ নামে প্রকৃতিবান্ধব সার্ভার ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করেছে। অচিরেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানানো হয়।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা। আর এ সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে ডিজিটাল পণ্য সচল রাখার সময়ও বাড়ছে গুণিতক হারে। আর সরাসরি এর প্রভাব পড়ছে বিদ্যুৎ খাতে। ফলে বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর চাপ পড়ছে।
আর এ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশগুলোকে। তাই প্রকৃতিবান্ধব (গ্রিন টেকনোলজি) ব্যবস্থাপনা এবং দ্রুত প্রয়োগের প্রশ্ন নিরব থাকার কোনো সুযোগ নেই।
অচিরেই অন্য সব প্রযুক্তিমাধ্যমও এ প্রকৃতিবান্ধব বিপ্লব শামিল হবে বলে গ্রিনপিস সূত্র জানিয়েছে। ফলে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুতের বাড়তি চাপ এ শিল্পের অগ্রযাত্রায় কোনো গুরুতর প্রতিবন্ধকতা হবে না বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫৪, এপ্রিল ৯, ২০১১