এখন অনলাইনজুড়ে স্প্যামারদের অবাধ বিচরণ। প্রায়ই নিত্যনতুন কৌশলের ফাঁদ তৈরি করছে তারা।
তবে এবারের ফাঁদটি মেকি ইভেন্টকেন্দ্রিক। উল্লেখ্য, প্রায় ১ কোটিরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতারণামূলক ইভেন্টের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। স্প্যামারদের উদ্দেশ্য ‘অনলাইন সার্ভে স্ক্যাম’ মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে। আইটি সিকিউরিটি এবং ডাটা প্রটেকশন ফার্ম ‘সফোস’ এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র মতে, এ প্রতারণার দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। আর হাজারো ফেসবুক ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই এ জালে আটকে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এ ইভেন্টের প্রচারিত একটি বার্তা ‘কে বা কারা তোমাকে তাদের ফ্রেন্ড তালিকা হতে অপসারণ করেছে’?
এ আমন্ত্রণ নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই এখনও বিভ্রান্ত আছেন। এছাড়াও স্প্যামাররা এ ইভেন্টের বিভিন্ন তথ্যবিভাগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে নিদের্শনা দৃঢ়ভাবে জুড়ে দিয়েছে।
ফলে ব্যবহারকারীরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওয়েবের পৃষ্ঠাটি দেখছেন অনলাইন প্রতিযোগিতার জন্য। যা কি-না স্প্যামারদের আয়ের উৎস।
এমনকি তারা ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর পাঠানোর জন্যও জানিয়েছে। অনেকেই তা দিয়েছেন অকপটে। কিন্তু প্রিমিয়াম এ সার্ভিস চার্জ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় এ পথ হতে পিছু হটার সম্ভাবনাও নেই।
সফোসের জ্যেষ্ঠ্য উপদেষ্টা গ্রাহাম ক্লুলেই জানান, এ মুহূর্তে ফেসবুকে সৃষ্ট এ ঘটনা বিড়ম্বনার জন্ম দিয়েছে। এরই মধ্যে ফেসবুকের লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর ওপর এর প্রভাব পড়ছে।
ক্লুলেই এর ভাষ্যমতে, ভবিষ্যতে ফেসবুককেন্দ্রিক এ ধরনের প্রবঞ্চনামূলক ঘটনা প্রতিহত করতে আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। এ মুহূর্তে ফেসবুক এসব থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। ফলে স্প্যামাররা খুব সহজেই এ ধরনের প্রতারণা মাধ্যমে নিজের পকেট ভারি করার সুযোগ পাচ্ছেন।
তাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে অবশ্যই এখান থেকে সরে আসা প্রয়োজন। আর অন্য সবাইকে ভুঁয়া ইভেন্ট সম্পর্কে অবহিত করা আবশ্যক।
এছাড়াও যদি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়ার প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। ফলে তারা ব্যবহারকারীদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে আসা যে কোনো ভূয়া চার্জ সম্পর্কে নজরদারি করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১১