ঢাকা: অনলাইনে কেনাকাটা এখন আর শুধুই শখ নয়, বরং সময়ের প্রয়োজন বলা চলে। জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ততা যতোই বাড়ছে মানুষের হাজারো প্রয়োজন মেটাতে ততোই জনপ্রিয় হচ্ছে ই-কমার্স বা অনলাইন শপিং।
এর ফলে বাংলাদেশে একদিকে যেমন চালু হয়েছে হাজার খানেক ই-কমার্স সাইট, তেমনি তাদের মধ্যেই আবার শুরু হয়েছে টিকে থাকার লড়াই।
লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে পাথেয় কি হতে পারে – প্রশ্নের উত্তর সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় অনলাইন শপিং সেন্টার ‘এসোডটকম’ ((esho.com) প্রধান নির্বাহী দিদারুল আলমের মুখে।
গ্রাহকরা যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য শুরু থেকেই কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে হবে। পণ্যের ছবি এক্ষেত্রে গ্রাহককে ‘যা কিনতে যাচ্ছে’ তার একটা সম্যক ধারণা দিতে পারে।
গ্রাহকরা অনলাইনে পণ্য কেনেন বাজারে গিয়ে ঘুরে ঘুরে খুঁজে বের করা থেকে মুক্তি পেতে। তাই অনলাইনে অর্ডার করা পণ্য তারা চান বাসায় বসে ডেলিভারি পেতে।
তার মতে, কখনো কখনো আবার পণ্য কিনেও গ্রাহক মত বদলাতে পারেন। সেক্ষেত্রে কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে আরেকবার কনফার্ম করে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পাঠাতে হবে গ্রাহকের ঠিকানায়।
অবশ্যই কনফার্ম করার পর দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান এই উদ্যোক্তা।
ই-কমার্স ব্যবসা করতে গেলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকতেই হবে – উল্লেখ করে দিদারুল আলম আরো বলেন, অনলাইন ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবসা। তাই রিয়েল টাইম আপডেটেড থাকার কোনো বিকল্প নেই।
উচ্চগতির ইন্টারনেট সারাদেশে আছে বলেই প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ই-কমার্স এখন লাভজনক ব্যবসা।
মানুষ মূলত ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে কি ধরনের জিনিস কেনে সে প্রসঙ্গে দিদারুল জানান, সব ধরনের পণ্যই মানুষ এখন খোঁজে অনলাইন শপগুলোতে। এসোডটকমে যেমন আমরা বেশি গুরুত্ব দেই লাইফস্টাইল, ইলেকট্রনিক্স ও আমাদের নিজেদের তৈরি পণ্যগুলোর ওপর।
তার মতে, গৃহস্থালি পণ্য, স্বাস্থ্যসেবা, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিকস, গিফট আইটেম, প্রসাধনী পণ্য, কসমেটিকস ও পোশাক-আশাকও আজকাল মানুষ কিনছে ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫