অনেকটা ঘটা করেই ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করল নকিয়া ফোনের নতুন মডেল ই7।
এ মডেলে মাইক্রোসফট এবং আইবিএমের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি সহযোগীদের পাশাপাশি বিনোদন, মাল্টিমিডিয়া এবং বহুমাত্রিক ফিচারের সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব।
নকিয়া ইমার্জিং এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার আবু দাউদ খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাহকরা এমন একটি সমাধান খুঁজছিলেন, যা একইসঙ্গে অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের কাজগুলোকে সমন্বয় করতে পারে।
তার ভাষ্যমতে, নকিয়া ই7 স্মার্টফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা বিশ্বসেরা মোবাইল নেভিগেশন, ম্যাপিং অ্যাপ্লিকেশন, লাখ লাখ সঙ্গীত ছাড়াও একটি সমৃদ্ধ মেসেজিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
এ মডেলে বিশ্বের ৮০টি দেশে চলাচলে ন্যাভিগেশন সুবিধা দিচ্ছে। অভি ম্যাপসের সর্বশেষ বাণিজ্যিক সংস্করণ অচিরেই অভি ম্যাপসে যুক্ত হবে। এ সুবিধা পাওয়া যাবে অভি সুইট, nokia.mobi বা nokia.com এ দুটি সাইটে।
বৈচিত্রপূর্ণ সুবিধার মধ্যে সাবওয়ে, ট্রামস বা ট্রেনের সময়সূচি, ট্রাফিক, সতর্কীকরণ বার্তা, পার্কিংয়ের ব্যবস্থাপনা, পেট্রোল স্টেশন, স্পিড লিমিট ওয়ার্নিং এবং সার্চ ও লোকেশন শেয়ারিং অন্যতম।
নকিয়া বেটা ল্যাবস থেকে একেবারে নতুন অভি ম্যাপসের পরীক্ষামূলক সংস্করণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।
নকিয়া ই৭ ব্যবহারে সহজবোধ্য এবং রিয়েল টাইম যোগাযোগে নতুনত্ব আনছে। মূল পর্দা চার ইঞ্চি বিশিষ্ট। এতে আছে সম্পূর্ণ কোয়ার্টি কিবোর্ড।
এ মডেলের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে ১৬ গিগাবাইট (জিবি) অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ, ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম, এক গিগাবাইট (জিবি) রম, ৬৮০ মেগাহার্টজ প্রসেসর, ব্রডকম জিপিইউ এবং সিমবিয়ান৩ অপারেটিং সিস্টেম।
বিশেষ চমকে আছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। দ্রুত অফিস অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে আছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্ট।
এ মডেলের ভোক্তারা ইচ্ছা করলে নকিয়ার ওভি স্টোর থেকেও অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
এ মডেলের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের গতানুগতিক কাজ করার আগের ধারণাকে অনেকটাই পাল্টে দেবে। ভ্রাম্যমাণ অবস্থাতেও অনায়াশেই নকিয়া ই7 মোবাইল ফোন উপভোগ্য হবে বলে নির্মাতাদের প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে দেশের নকিয়া রিটেইল শপে এ মডেলের ফোনটি পাওয়া যাবে। এ মুহূর্তে দাম ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। নকিয়া সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৯২০, এপ্রিল ২১, ২০১১