ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পাগল রাজনীতিবিদরা যতই অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর  চেষ্টা করুক ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
 
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), গ্রামীণফোন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) পরিচালিত ‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ শিরোনামে ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাগল রাজনীতিবাদরা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে যতই বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করুক বাংলাদেশের আগ্রগতি থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ হবেই।
 
ইনু বলেন, দু’দিন আগেও কেউ বিশ্বাস করেনি সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে এতটা এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ কেউ সেটি ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুধু ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে প্রাতিষ্ঠানিক সব পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন।
 
মন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রশাসন, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ সবাইকেই সরকার সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। আগামীর কৃষকদের আমরা ই-কৃষক বলতে পারবো। কৃষিতে প্রযুক্তি ও ব্যবসা নিশ্চিত হলে গ্রামীণ জীবনে বিপ্লব ঘটবে।

কৃষকরা যাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত তথ্য পান সে জন্য কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের তথ্য ভাণ্ডার তৈরির আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন। কৃষি অর্থনীতিও এগিয়ে যাবে।
 
তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি এমনই একটি বিষয় যা প্রতিদিন পরিবর্তন হয়। সুতরাং, আজকের সমস্যা আগামীকাল নাও চলতে পারে। তাই যারা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তাদের প্রতিদিন নতুন নতুন সমাধান আবিষ্কার করতে হবে।
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়।

ক্যাম্পেইনে কৃষক ও কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে সঠিক ও কার্যকরী কৃষি সম্প্রসারণ সেবা পাওয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়।
 
আগামীর কৃষক, ই-কৃষক ক্যাম্পেইনে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক লাখ মানুষ অংশ নেন। ক্যাম্পেইনের আইডি জমা দেওয়া প্রতিযোগিতায় ১৫ হাজার লোক সরাসরি অংশ নেন। যা থেকে ৭শ’ রকমের ধারণা পাওয়া যায়। এরমধ্যে থেকে একশজনকে পুরস্কার দেওয়া হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
 
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী শীর্ষ তিন ধারণা প্রদানকারী, তিন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও তিন বিশেষ উদ্যোক্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
এএসএস/এসএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।