ঢাকা: অনলাইন ইতিহাসে ২৯ এপ্রিল হয়ে থাকবে চিরস্বরণীয়। কারণ ঐতিহাসিক এবং বিশ্বব্যাপী বহুল আলোচিত প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এদিন।
এ বিয়ে কোনো নিছক ঘটনা নয়। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক-শ্রোতা এদিনের পুরোটাই কাটিয়েছেন অনলাইন আড্ডায়। উদ্দেশ্য প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের বিয়ের প্রতিটি মুহূর্ত স্বচোখে অবলোকন করা।
আর এ উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছে অনলাইনের মহাগুরু ফেসবুক, টুইটার, গুগল আর ইউটিউব।
এদের প্রত্যেকেই অনলাইনজুড়ে তুলেছেন উন্মাদনার ঝড়। এদের কেউ মাতিয়েছেন ছবি প্রকাশ করে, কেউবা ভিডিও, কেউ ক্ষুদে বার্তা কিংবা সামাজিক বার্তায়। সবমিলিয়ে পরিস্থিতিটা ছিল জটিল আর টান টান উত্তেজনায় পূর্ণ।
আর হবেই বা নয় কেন। প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের বিয়ে বলে কথা। এরই মধ্যে এ বিয়ে ইতিহাসের পাতায় তার অমোচনীয় উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ সাইট, মোবাইল ফোন কিংবা ময়দানজুড়ে এলসিডির সুদৃশ্য বড় পর্দা কোনো কিছুই বাদ পড়েনি এ বিয়ের সম্প্রচারে। বিশ্বের সব স্থান থেকে এ বিয়ে অবলোকন করেছেন বিশ্বের কোটি কোটি রাজসিক ভক্ত।
আগ্রহীরা চাইলেই প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের বিয়ের অনুষ্ঠান http://twitpic.com/4qxlhn এ সাইটে সরাসরি উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিয়ের আসরে আরও নান্দনিক মাত্রা জুড়ে দেন বিশ্বসেরা সেলিব্রেটি ফুটবলার ডেভিড বেকহাম এবং পপস্টার ভিক্টোরিয়া। সরাসরি উপস্থিত হয়ে মাত্র ২০ মিনিটে ৯ হাজার লাইভ ফেসবুক ভক্তের সঙ্গে হাজির হয়ে সবার নজর কাড়েন ডেভিড বেকহাম।
এ রাজসিক বিয়ে মোবাইল টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করেছে বিশ্বের জনপ্রিয় অনলাইন টিভি এবিসি নিউজ। এছাড়া ট্যাবলেট পিসি এবং স্মার্টফোনেও এ বিয়ের সম্প্রচার দেখেছেন কোটি কোটি ডিজিটাল ভক্ত।
বিখ্যাত অনলাইন ট্রাফিক তথ্যমাধ্যম আকামাই সূত্র জানিয়েছে, এ বিয়ের কারণে এদিন বিশ্বব্যাপী অনলাইন ট্রাফিক বেড়ে যায় শতকরা ৩৯ ভাগ। আর কোটি কোটি ভক্তের অনলাইন অবস্থানের কারণে ইন্টারনেটও খানিকটা গতিহীন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময় ১৮০৫, এপ্রিল ৩০, ২০১১