২০১০ সালে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত কমপিউটারে ব্যবহৃত শতকরা ৯০ ভাগ সফটওয়্যারই অবৈধ। এর বাজারমূল্য ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে ২০০৯ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ বছর ব্যক্তিগত কমপিউটারে ব্যবহৃত শতকরা ৯১ ভাগ সফটওয়্যারই ছিল অবৈধ (পাইরেটেড)। এর বাজারমূল্য ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বিজনেস সফটওয়্যার অ্যালায়েন্স (বিএসএ) এর ২০১০ সালের স্টাডি রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ স্টাডি রিপোর্ট সম্পর্কে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ বিপণন পরিচালক রোনাল্ড চ্যান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার অবৈধ সফটওয়্যারের পরিমাণ বেড়েছে।
এ সূত্রে অবৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রবণতা কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি দেশে আইটি শিল্পের পরিকল্পিত প্রসারে বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।
আর এ অভ্যস্ততা তৈরিতে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শিক্ষামূলক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আগ্রহী বিএসএ। রোনাল্ড বলেন, সফটওয়্যার পাইরেসির বিরুদ্ধে আরও সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ মুহূর্তে সফটওয়্যার পাইরেসি হারকে কমিয়ে আনতে অনেক কিছুই করার আছে।
পাইরেসি রেট কমে আসলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি প্রগতিশীল পথে এগুবে। সৃষ্টি হবে নতুন সব চাকরির সুযোগ। কর আয়ের পরিমাণও বাড়বে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যার পাইরেসি নিয়ে আইডিসি (ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন) এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে বিএসএ পরিচালিত এটি অষ্টম সমীক্ষা।
এ প্রকাশিত সমীক্ষায় বিশ্বের ১১৬টি দেশে পরিচালিত ১৮২ রকমের স্বতন্ত্র তথ্য সংগ্রহের এসব তথ্যচিত্র লিপিবদ্ধ করা হয়। এবারের সমীক্ষা পরিচালনায় ব্যক্তিগত কমপিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নতুন একটি পদ্ধতি ‘পাবলিক অপিনিয়ন সার্ভে’ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এখানে পাইরেটেড সফটওয়্যার প্রসঙ্গে গুরুত্ব পেয়েছে সামাজিক মনোভাব। এ জরিপ পরিচালনা করেছে ইপসস পাবলিক অ্যাফেয়ার্স। এ জরিপে দেখা গেছে, প্রতি দশজনের মধ্যে সাতজন রেসপনডেন্ট মেধাসত্ত্ব অধিকারকে সমর্থন করে।
কিন্তু এখানে লক্ষণীয়, বাজারে মেধাসত্ত্ব অধিকারকে সবাই সমর্থন করে। বিপরীতে পাইরেসি রেটও উচ্চমাত্রার। সমীক্ষা মতে, পিসি ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই পাইরেটেড সফটওয়্যার থেকে লাইসেন্সড সফটওয়্যার ব্যবহারের স্বপক্ষে রায় দিয়েছে।
এর কারণ প্রকৃত (লাইসেন্সড) সফটওয়্যার ব্যবহার অনেক বেশি নিরাপদ। আবার অনেকের মধ্যে এ বিষয়ে স্বচ্ছ কোনো ধারণা নেই। যেমন একটি লাইসেন্স সফটওয়্যার ক’টি পিসির জন্য ব্যবহারযোগ্য। আবার পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক থেকে কোনো প্রোগ্রাম ডাউনলোড বৈধ না অবৈধ।
এ বিষয়ে রোনাল্ডের ভাষ্য, এজন্য শুধু সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লাইসেন্সড সফটওয়্যার ব্যবহার করার উদ্যোগ যথেষ্ঠ নয়। পরিকল্পিত কিছু উদ্যোগ নিয়ে এ পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসার পথ অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময় ২০০৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১১