ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ উন্নয়নে রূপরেখা

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ উন্নয়নে রূপরেখা

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরবর্তী গন্তব্যস্থল হিসেবে বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, পলিসি সাপোর্ট, ভেঞ্চার ক্যাপিটার পলিসি, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, ১১ কোটির বেশি মোবাইল ফোন গ্রাহক, ৪ কোটির বেশির ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, আইসিটিতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতিসহ সরকারি-বেসরকারি নানা সহায়তা বাংলাদেশে বিনিয়োগের দারুণ ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ হলো বাংলাদেশ।

বুধবার দ্য ইন্দাস এন্টারপ্রেওনারস (টিআইই) সিলিকন ভ্যালিতে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস (এএবিইএ) আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগেরও আহ্বান তারা।

‘অংশীদারিত্ব, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সিলিকন ভ্যালির মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধন  গড়ে তোলা’ শীর্ষক সম্মেলনে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, এএবিইএ-এর উপদেষ্টা এম হেলাল, টাই সিলিকন ভ্যালির সভাপতি বিনোদ শুক্লা এবং ফিনক্স ভেঞ্চার এর কাইলে ক্লিং। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন এএবিইএ-এর উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর দেওয়ান।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বক্তব্যে প্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেসিসের ভূমিকা তুলে ধরেন। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সফলতা বিশেষকরে বেসরকারি বিভিন্ন সফল উদ্যোগের কথা উঠে আসে সম্মেলনে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বক্তব্যে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দেন। সরকারের নেওয়া বেশ কিছু সফল প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন তিনি। সরকারের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অংশীদারিত্ব, উদ্যোক্তা তৈরি ও উদ্ভাবনীমূলক কাজেও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম সরকারের সাথে বেসরকারি খাতের বিশেষকরে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে অংশগ্রহণ ও সমর্থনের বিষয় তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত নানান কর্মসূচির বিবরণ তুলে ধরেন। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে গৃহীত এবং বাস্তবায়িত নানাবিধ কর্মসূচির কথাও উঠে আসে এসময়।   

বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান ও যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। সম্মেলনে অংশ নেয়া বেসিসের সদস্যভুক্ত ৪টি কোম্পানি হলো ক্রান্তি অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, রিভেরি কর্পোরেশন লিমিটেড, সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও আর্ক বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

আইসিটি খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ে ‘বাংলাদেশ নেক্সট’ স্লোগানকে সামনে রেখে বেসিসের পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) যৌথভাবে এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।

এর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বেসিস ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দের একটি প্রতিনিধিদল অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম পেপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে বেসিসের নেতৃত্বে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল,  ফেসবুক এবং ইন্টেল এর সঙ্গেও বৈঠক করা হয়। এতে বাংলাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।