বাজেট আসন্ন। এ নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি খাতগুলো ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মহলগুলো তাদের সুবিধা-অসুবিধা আর ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাষে তৎপর।
এ গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং ক্যামব্রিয়ান কলেজের উদ্যোগে শনিবার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বিসিসি, বিসিএস, বেসিস এবং আইএসপিএবি ছাড়াও গ্রামীণফোন, কিউবি, গ্রামীণফোন আইটিসহ সংশ্লিষ্ট এনজিওর শীর্ষ কর্মকর্তারা সুনির্দিষ্ট আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও সেন্টার ফর ই-পার্লামেন্ট রিসার্সেও চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসাইন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান। এ আলোচনা সভার সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, অচিরেই আইসিটি মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা অন্যতম।
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কতটা এগিয়েছে এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে এ মুহূর্তে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মোকাবেলা করতে হবে। এ নিয়ে সরকারের কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।
এরই মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলার আইপি ফোনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। ব্র্যান্ডউইথড এর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য হবে।
বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান জানান, গত বাজেটে আইসিটি খাতে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকার শতকরা ৯০ ভাগই খরচ হয়ে গেছে। এ বাজেটের বেশির ভাগই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা হয়।
এ সেমিনারে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর এবং আইএসপিএবি’র সহসভাপতি সুমন আহমেদ সাবির।
এ আলোচনা সভায় সরকারি কাজে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার গুরুত্বারোপ, শিক্ষাব্যবস্থায় ইবুকের সফল ব্যবহার, ইন্টারনেটের যৌক্তিক ব্যয়, সাধারণ মানুষের জীবন মানোন্নয়নে আয়সাশ্রয়ী তথ্য প্রচার ছাড়াও থ্রিজি নেটওয়ার্কের মতো বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্ব পায়।
এ সেমিনারে কমপিউটার এবং নেটওয়ার্কিংয়র সব ধরনের পণ্যের ওপর অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়। এ মুহূর্তে কমপিউটার ও নেটওয়ার্ক পণ্য আমদানীকারকদের জন্য ৩ ভাগ এটিভি (অ্যাডভান্সড ট্যাক্স ভ্যাট) ধার্য আছে। এ ভ্যাটকে চূড়ান্ত ভ্যাট হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয়।
এ আলোচনায় অংশ নেন এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ই্ন্ড্রাস্টি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসেসিও) কো-চেয়ারম্যানও ও বিসিএস’র সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর, আইএসপিএবি সহ-সভাপতি সুমন আহমেদ সাবির, বিসিএস সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বপন, গ্রামীণফোন লিমিটেডের অতিরিক্ত মহা ব্যবস্থাপক এ এইচ এম সুলতানুর রেজা, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ আকতার হোসেন, বেসিসের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, ক্যামব্রিয়ান কলেজের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার সেলিমা রওশন, বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজুলর রহমান, এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি ফর ওমেন এর সহকারী অধ্যাপক ড. ফাহিম হোসেন, বিসিএস’র সাবেক সভাপতি সবুর খান, ফয়েজুল্লাহ খান, জিপি আইটির চীফ কমার্শিয়াল অফিসার রনি রিয়াদ রশিদ, কিউবির জিয়া হাসান খান, জিপিআইটির হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স জহরাত আদিব চৌধুরি, বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকতা এএইচএম বজলুর রহমান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। আর সূচনা বক্তব্য রাখেন বিআইজেএফ সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময় ২১৫৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১১