ঢাকা: আগামী ২০২১ সালের মধ্যে তিন বিলিয়ন (তিনশ’ কোটি) ডলারের প্রযুক্তিপণ্য রফতানি করবে বাংলাদেশ। আর এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখবে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত তরুণেরা।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
‘এমপাওয়ারিং ই-কমার্স থ্রো পেজা ই-ওয়ালেট সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যাসাডা টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের ই-ওয়ালেট সেবা প্রকল্প ‘পেজা’ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আগামী তিন বছরে উন্নয়নশীল দেশে শতকরা ৪০ শতাংশ ই-কমার্সের আয় বাড়বে। এতে বাংলাদেশেরও অংশগ্রহণ থাকবে।
‘আমরা ইন্টারনেট ক্লাব করেছি; যেখানে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারিত করতে পারলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। ই-কমার্সের পরিধিও দ্রুত প্রসারিত হবে। ’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম জাহাঙ্গীর আক্তার বলেন, অনেকেই অনলাইনে নিরাপত্তার কারণে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এছাড়া, নানা সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়।
‘এসব কথা মাথায় রেখেই আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা ও ভালো সেবার অঙ্গীকার নিয়েই পেজার সঙ্গে অনলাইনে লেনদেন নিয়ে কাজ করছি। এখন নিশ্চয়তা ও ভালো সেবা দুই-ই পাওয়া যাবে। ’
পেজার আন্তর্জাতিক প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আমর ম্যাগন জানান, আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসায় উন্নতি করতে হলে লেনদেন ইন্টারনেটেও হতে হবে। আর ইন্টারনেট অর্থাৎ অনলাইনে লেনদেন করতে চাইলে দরকার সঠিক মাধ্যম। এই সঠিক মাধ্যম হিসেবেই কাজ করবে পেজা।
অনুষ্ঠানে পেজার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রধান মার্কেটিং ও সেল্স নাফিস এহতেশাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
একে/এমএ/এইচএ/