ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে দিয়েছে সরকার। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্য মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, টুইটার, স্কাইপ, ইমোসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলো এখন ব্যবহার করতে পারছেন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো খুলে দেয় সংশ্লিষ্ট অপারেটররা।
বিকেলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে দেওয়ার জন্য বিটিআরসি’কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরে বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দেয়।
বিটিআরসি’র নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো সেগুলো আবার খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
নির্দেশনায় ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন, ট্যাঙ্গো, হ্যাঙ্গআউট, স্কাইপ, ইমো এবং টুইটার খুলে দিতে বলা হয়।
মোবাইল অপারেটর ও আইআইজি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, বিটিআরসি’র নির্দেশনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তারা খুলে দিয়েছেন। বিকেল ৫টার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো একে একে খুলে দেয়া হয় বলে জানান মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তারা।
অবশ্য এর আগে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেয়া নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। এ ব্যাপারে রাতেই তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেছিলেন, এটি নতুন নয় আগের নির্দেশনার পুনরাবৃত্তি মাত্র।
কিন্তু টুইটার বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকার নির্দেশনা নেই বলে সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এরপরই তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, টুইটার-স্কাইপ-ইমোসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার জন্য বিটিআরসি’কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, লাইন, ট্যাঙ্গো, হ্যাঙ্গআউট, ইমোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু কেউ কেউ এসব বিকল্প পথে ব্যবহার করে আসছিলো। বন্ধের ২৩ দিনের মাথায় গত ১০ ডিসেম্বর ফেসবুকের সঙ্গে এর অ্যাপস ম্যাসেঞ্জার খুলে দেওয়া হলেও অন্যান্য মাধ্যমগুলো বন্ধ ছিলো। তবে টুইটার চালু ছিলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তারানা হালিম। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো খুলে দেয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমআইএইচ/আরআই
** খুললো টুইটার-স্কাইপসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম