বাংলাদেশের সফটওয়্যার খাতের ভবিষ্যৎ বাজার আর সম্ভাবনার কথা জানাতে জিপিআইটি মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। ১৮ জুন বসুন্ধরার জিপি হাউজে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যার শিল্পের ব্যাপক বাজার চাহিদা তৈরি হয়েছে। এখন প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। এরই মধ্যে জিপিআইটি দেশের বাজারে সফটওয়্যার তৈরিতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। আর জনবলও দেশেরই।
এ আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জিপিআইটির হেড অব করপোরেট জহরত আদিব চৌধুরি।
এ অনুষ্ঠানে জিপিআইটির কারিগরি দক্ষতা, জনবল, করপোরেটের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সফটওয়্যার উন্নয়ন ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন জিপিআইটির সিইও পিটার অ্যান্থনি ডিনডায়াল।
সফটওয়্যার খাতে দেশীয় জনবল তৈরির প্রসঙ্গে জিপিআইটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন রহমান বাংলানিউজকে জানান, এরই মধ্যে তারা বেসিসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ১২০০ আইটি প্রফেশনাল তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অচিরেই এর কার্যক্রম শুরু হবে।
জিপিআইটির সিইও পিটার অ্যান্থনি ডিনডায়াল বাংলানিউজকে জানান, এ মুহূর্তে বিশ্বমানের সফটওয়্যার সেবা নিশ্চিতে জিপিআইটি পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন জিপিআইটিতে ৪০০ জন দক্ষ আইটি প্রফেশনাল কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এজন্য দেশীয় জনশক্তিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বাজেট এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জিপিআইটির হেড অব করপোরেট জহরত আদিব চৌধুরি বাংলানিউজকে জানান, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের পথেই এগুচ্ছে। আর বাজেটে থোক বরাদ্দের চেয়ে সফটওয়্যার শিল্পখাতের মানোন্নয়নে যে কোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে সরকার পজেটিভ এ বিষয়টিক তিনি গুরুত্বেও সঙ্গে উপস্থাপন করেন।
এ অনুষ্ঠানে জিপিআইটির হেড অব ডেভেলপমেন্ট নোমান ওয়াসী এবং চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার রনি রিয়াদ রশীদ উপস্থিত ছিলেন। জিপিআইটির কারিগরি দক্ষতা এবং সেবা সম্পর্কে তারা সরাসরি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, জিপিআইটি সলিউশন অ্যান্ড সার্ভিসের মধ্যে কমিউনিকেশন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ফিন্যান্সিয়াল, বিজনেস এবং মোবাইল কনটেন্ট অন্যতম।
বাংলাদেশ সময় ১৬২৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১১