ঢাকা: স্যামসাং এবার দিচ্ছে স্বপ্নপূরণ অফার। স্যামসাংয়ের একটি স্মার্টফোন কিনে বনে যেতে পারেন গাড়ির মালিক, পেতে পারেন এলইডি টেলিভিশন।
এসব উপহার পেতে আসতে হবে তিনদিনব্যাপী ‘গ্রামীণফোন স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলায়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে এ মেলা।
বিআইসিসির কার্নিভাল হলে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে স্যামসাংয়ের দৃষ্টিনন্দন বিশাল স্টল।
স্টলে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো দর্শনার্থীদের ভিড়। স্যামসাং স্মার্টফোনের সব ধরনের ডিভাইস দিয়ে সাজানো হয়েছে স্টলটি। দর্শনার্থীরা স্যামসাংয়ের মোবাইল ফোন সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি অনেকেই অফারে কিনছেন মোবাইল ফোন।
স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশ’র মিডিয়া ম্যানেজার মাহজাবিন ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, স্টলের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (গিয়ার ভিয়ার)। প্রথমবারের মতো দর্শনার্থীরা এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন।
তিনি জানান, স্যামসাং মোবাইল ফোনে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপভোগ করা যাবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও গেম খেলার পাশাপাশি সিনেমা, ভিডিও গানসহ মোবাইল ফোনে যা দেখা যায় তার সবকিছু এর মাধ্যমেও দেখা যাবে।
মাহজাবিন ফেরদৌস জানান, শুধু কথা বলা ও ছবি তোলার জন্য মোবাইলের ব্যবহার নয়, এর বাইরেও বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে কাজ করছে স্যামসাং। এরই একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এরপর এরকম আরও বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে গ্রাহকদের কাছে হাজির হবে স্যামসাং।
মোবাইলসহ গিয়ার ভিয়ার চোখে লাগিয়ে দেখতে হবে। এটি চালুর পর বিশাল পর্দা চোখের সামনে ভেসে উঠবে। মনে করুন আপনি একটি সিনেমা দেখছেন, এক সময়ে আপনি নিজেই সিনেমার অংশ হয়ে যাবেন।
স্টলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বের মধ্যে সপ্তম ব্র্যান্ড হিসেবে স্যামসাং স্বীকৃত। আর মোবাইল ফোনে প্রথম স্থানে রয়েছে। সুতরাং, এ ব্র্যান্ডের গুণগত মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
স্টলের কর্মীরা জানান, বিশটির বেশি মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেটের প্রদর্শনী রয়েছে স্টলটিতে। গ্রাহকদের তথ্য ও সেবা দিয়ে সহযোগিতা করছেন একঝাক তরুণ।
৬ হাজার ৯৯০ থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের স্মার্টফোন রয়েছে স্টলটিতে। মেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টল হিসেবেও স্থান করে নিয়েছে স্টলটি।
মিডিয়া ম্যানেজার মাহজাবিন বলেন, নিত্যনতুন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মোবাইল ফোন সরবরাহ করে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। চলতি বছরে আরও উন্নতমানের সেবা দিয়ে গ্রাহকের কাছে যেতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকবান্ধব পণ্যগুলোই বাজারজাত করছি আমরা। সব শ্রেণীর মানুষের ক্রয়ক্ষতার মধ্যে যেন মোবাইল ফোনের দাম থাকে সেদিকটাও বিবেচনা করা হয়। স্মার্টফোনের আরও নতুন নতুন মডেলের মোবাইল নিয়ে আসা হচ্ছে।
স্যামসাং বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর এক্সেল টেলিকম লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার মো. রেজাউল হক রেজা বলেন, স্যামসাংয়ের ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে আমরা খুব দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে স্যামসাংকে এক নম্বর অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। কেননা স্যামসাং মোবাইল বিশ্বে এখন এক নম্বরে রয়েছে। বাংলাদেশে স্মার্টফোন ক্যাটাগরিতেও এক নম্বরে।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এক্সপো মেকারের আয়োজনে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়ে দেশে এটা পঞ্চম প্রদর্শনী। মেলার টাইটেল স্পন্সর দেশের শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন এবং কো-স্পন্সর এলিট, হুয়াওয়ে, স্যামসাং ও সিম্ফনি মোবাইল।
প্রতিদিন মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ ফি ২০ টাকা। মেলায় বিক্রিত টিকিটের অর্থ ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক লতিফুল হকের চিকিৎসা খরচ, দুঃস্থদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণে অংশগ্রহণসহ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।
তবে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে স্কুল শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে মেলায়। আগামী কাল শেষ হবে এ মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫
একে/এএ