ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

খুলনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
খুলনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৬ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।



রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে যে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে, তা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর ফলে অর্থনীতিসহ শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে সম্পদশালী দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রেই তোমরাই কাণ্ডারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উন্নত নাগরিক হতে সকল শিক্ষার্থীকে তাদের প্রযুক্তিগত মেধার বিকাশ ঘটানোরও আহবান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে স্বপ্নের সূচনা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপদানকারী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক (ইনোভেশন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল কার্যক্রমকে সারাদেশে পরিচিত করে তুলতে ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিটি জেলায় এভাবে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।   এবারের মেলার বিশেষত্ব ই-কমার্সকে জনগণের কাছে অধিক পরিচিত করে তোলা, যার মাধ্যমে উদ্যোক্তা ঘরে বসেই তার পণ্য বিক্রি করতে পারে।

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় এবং জাতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকরী এমন উদ্ভাবনী জ্ঞানকে কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে পারে তার জন্য সহযোগিতা দেওয়া।

এবার সারাদেশে ১০০টি প্রজেক্টকে ফিন্যানসিয়াল সার্পোট দেয়া হবে।   ইতোমধ্যে সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের মাধ্যমে ৯২টি প্রকল্পে ১৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।