তথ্য মানুষের অধিকার। এ অর্থে এ তথ্যের যত্রতত্র ব্যবহার আর অবৈধ হস্তক্ষেপ তথ্য অধিকার হননের সামিল।
তথ্যাধিকারের প্রশ্নে, সরকার তার প্রয়োজনে মোবাইল ফোনভিত্তিক তথ্য জানতে চাইলেও প্রয়োজন জোরালো নিয়মনীতি। বিশ্বের অনেক দেশই এ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো সাধারণ মানুষের ব্যক্তিতথ্যের উপর প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করে থাকে।
এতে তথ্যাধিকার বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দেশের আদালতে এ নিয়ে আইনি মামলাও চলছে। একদিকে সরকার যেমন তথ্যকে অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করছে।
অন্যদিকে এ তথ্য যে কোনো প্রয়োজনে, যে কোনো সময়ে তলব করার অধিকার সরকারের আছে বলেও সরকারি সূত্রগুলো নির্দেশনা দিচ্ছে। এর ফলে ব্যক্তিতথ্য নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কোনো স্থায়ী সমাধান কিংবা নিয়মের আওতায় সরকার শক্ত অবস্থান নিতে পারছেনা। এ যেন দ্বৈতনীতির কঠিন বেড়াজাল।
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রও ভুগছে এ দ্বৈতনীতির দুষ্টচক্রে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রেমী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনও এ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
উল্লেখ্য, মোবাইল ফোনভিত্তিক তথ্যাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে একদিকে যেমন ব্যক্তিতথ্য হস্তক্ষেপের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন আছে। ঠিক তার বিপরীতে আছে বহু সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠার গল্প।
এ নিয়ে বারাক ওবামার প্রসাশনিক মুখপাত্র জানান, এ ধরনের নীতির সুনির্দিষ্ট হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে মোবাইল ফোনভিত্তিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বড় ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করার নজির আছে।
অন্যদিকে এর অনৈতিক আর অবৈধ ব্যবহারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে নিরীহ জনগণের স্বাভাবিক জীবন। আর এ প্রশ্নের স্থায়ী সুরাহা খুঁজতেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে চলছে যৌক্তিক আইনি লড়াই।
বাংলাদেশ সময় ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১১