এবার ফেসবুককে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে উইকিপিডিয়া। এ খবরটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি।
ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শীর্ষে থাকা ফেসবুক জনপ্রিয়তার একেবারে নিচের কাতারে চলে এসেছে।
দ্য আমেরিকান কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন ইনডেস্ক (এসিএসআই) পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, ৭০ হাজার অনলাইন গ্রাহকের ওপর পরিচালিত ১০০ পয়েন্টের বিবেচনায় বেশ কিছু তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।
এ বছরের ই-বিজনেসকেন্দ্রিক ভোক্তা জরিপে ৭৮ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে উইকিপিডিয়া। ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউটিউব (গুগল)। আর ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে স্যোশাল মিডিয়া। তবে এ কাতারে ফেসবুকের অবস্থান নেই।
এ মুহূর্তে মাত্র ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার একেবারে নীচে অবস্থান করছে ফেসবুক। ব্যক্তি তথ্যের নিরাপত্তাহীনতা এবং একচেটিয়া মনোভাবের কারণে পয়েন্ট টেবিল থেকে একেবারে ছিটকে পড়েছে ফেসবুক।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, এমনিতেই ফেসবুক নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ ছিল অন্তহীন। তাই সবাই একটি বিকল্প সামাজিক মাধ্যম খুঁজছিল। এরই মধ্যে গুগলের সামাজিক সাইট প্লাসের আচমকা আর্বিভাবে মুহূর্তেই পতন হয় ফেসবুক দূর্গের।
এতে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে ধীরে ধীরে। ভারী হতে থাকে অভিযোগের পাল্লা। সব মিলিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ফেসবুক। ঠিক এ সময়েই গুগলের সুপরিকল্পিত আঘাত। আর মুহূর্তেই ছন্দপতন।
উল্লেখ্য, এ ভোক্তা জরিপে আরেক সামাজিক মাধ্যম মাইস্পেস তো স্পেসই পায়নি। একেবারে তালিকার বাহিরে। এ জরিপের মাধ্যমে ভোক্তাদের মতামতই জয়যুক্ত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন। তাই ফেসবুকের সময়টা ভালো যাচ্ছেনা এটা সুনিশ্চিত।
বাংলাদেশ সময় ২২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১