ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিকল্প সেবা গ্রহণে সময় পাচ্ছেন সিটিসেল গ্রাহকরা

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
বিকল্প সেবা গ্রহণে সময় পাচ্ছেন সিটিসেল গ্রাহকরা

ঢাকা: অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়ে প্রাথমিক ঘোষণা আসলেও সিটিসেলের গ্রাহকরা বিকল্প সেবা গ্রহণে আরও এক থেকে দু’মাস সময় পাবেন বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
 
আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত অপারেটর বদল বা বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে বলা হলেও টেলিযোগোযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরও গ্রাহকরা সময় পাবেন।


 
অর্থাৎ বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য আরও এক থেকে দু’মাস পর্যন্ত সময় পাবেন দেশের সব থেকে পুরনো অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহকরা।
 
রাজস্ব বকেয়া এবং পরিশোধে গড়িমসি করায় যেকোনো সময় সিটিসেলের লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ১৬ আগস্টের মধ্যে গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের আহ্বান জানায় বিটিআরসি।
 
গত ৩১ জুলাই গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিটিআরসি’র ওই বিজ্ঞপ্তিতে অপারেটরটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
 
সিটিসেলের বিষয়ে কবে নাগাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে জানতে চাইলে রোববার (১৪ আগস্ট) নিজ দপ্তরে তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, সিটিসেলের বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, আগামী ১৭ আগস্ট বিটিআরসি এবং সিটিসেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রতিমন্ত্রী তারানা।
 
তারানা হালিম বলেন, বকেয়া ছাড়াও আর কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে কিনা দেখতে হবে, সেই বিষয়গুলো বিটিআরসির সঙ্গে বসে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
 
‘তারপরই আমরা গ্রাহকদের এক থেকে দু’মাস সময় দেবো অপারেটর পরিবর্তন করার জন্য। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর গ্রাহককে সময় দিতে হবে, সেটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর। ’
 
মোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব বকেয়া থাকায় সিটিসেলের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিটিআরসি।
 
আলোচনা না করে বিটিআরসি’র সিদ্ধান্তটি অপরিপক্ক বলে মন্তব্য করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
 
‘বিটিআরসির অপেক্ষার প্রয়োজন ছিল। চিঠির সিদ্ধান্ত ইফেকটিভ হচ্ছে না, কারণ সিদ্ধান্তটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। ’
 
বিটিআরসি আলোচনা করলে আইনগত বিষয়গুলো পরিষ্কার হতো বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
 
তবে চিঠিতে লাইসেন্সের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত তা গ্রাহক ও সিটিসেলকে জানিয়ে দেওয়া ঠিক আছে বলে মনে করেন তারানা হালিম।
 
‘প্রাথমিকভাবে তাদের প্রস্তুতির জন্য এটা দরকার ছিল। তবে আমরা গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলবো কেন। অপারেটর বদলের জন্য গ্রাহকরা কিছু দিন সময় পাচ্ছেন, এটা আমাদের দিতেই হবে। আমরা গণতান্ত্রিক সরকার। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে হঠাৎ করে গ্রাহকদের অন্য পরিষেবা গ্রহণ করতে বলতে পারি না। ’
 
বিষয়টি বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, যে চিঠি পাঠানো হলো সেখানে একটু ব্যাখ্যার সুযোগ রয়েছে, সুস্পষ্ট না। বিষয়টি এমন হওয়া উচিত, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর একটা সময় দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে আপনারা অন্য অপারেটরে শিফট করেন।
 
আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কীভাবে অপারেটর বদল করার জন্য বলতে পারি- জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, আমার মনে হয়, এতে বিটিআরসির সিদ্ধান্তগত একটু অপরিপক্কতা প্রকাশ পেয়েছে।
 
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ সচিবকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
গত ৩ আগস্ট বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, সিটিসেল চালু থাকা বা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকার নির্ধারণ করবে।
 
বিটিআরসি’র সর্বশেষ জুন মাসের হিসেবে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহক দেখানো হয় ৭ লাখ ২ হাজার।
 
তবে ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, সিম-রিম রেজিস্ট্রেশনের পর সিটিসেলের গ্রাহক আরও কমে এসেছে। এখন দেড় থেকে দুই লাখ।

**সিটিসেলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে সরকার
**বন্ধ হচ্ছে সিটিসেল, গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ


বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।