অ্যাপস ও গেইমস ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আয় বা মনিটাইজেশন নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সোমবার (২৮ নভেম্বর) কাওরান বাজারস্থ বেসিস কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শতাধিক অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপার অংশ নেন।
বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেসিসের সহ-সভাপতি ও বেসিসের মোবাইল অ্যাপস ও গেইমস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক এম রাশিদুল হাসান।
সভাপতির বক্তব্যে রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমরা মোবাইল অ্যাপস ও গেইমসের ডেভেলপমেন্টকেই গুরুত্ব দিই। কিন্তু মোবাইল অ্যাপস ও গেইমসের সফলতার জন্য এর বিপণনে (মার্কেটিং) বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি, ডেভেলপমেন্টে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাজেট ও বিপণনে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বাজেট খরচ করা প্রয়োজন।
ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সাথে আমরা অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছি। সঠিক পরিকল্পনা, অ্যাপস স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবসহ বেশ কয়েকটি কারণ থাকা স্বত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের মোবাইল অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপমেন্টের উন্নয়নে বেসিস কাজ করছে। আগামীতেও ট্রিলিয়ন ডলারের অ্যাপস ও গেইমসের বাজারে বাংলাদেশের দৃশ্যমান অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বেসিসের সহ-সভাপতি।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন হামজা গেইমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মো. রুবেল হামজা ও রিভেরি কর্পোরেশনের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার অনিন্দ্য দ্যুতি ধর।
সেমিনারে আলোচকরা জানান, দেশে ভালো অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপার থাকলেও বিশ্বব্যাপী গেইমের বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ খুবই কম। বিশেষকরে বাংলাদেশ থেকে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপস বিক্রির সুযোগ না থাকায় অনেকেই এক্ষেত্রে টিকতে পারছেন না এবং অনেকেই বিমুখ হচ্ছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদী ও কৌশলগত পরিকল্পনা, অ্যাপস ও গেইমসের বিপণন এবং সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশ এই খাতে বড় অবদান রাখতে পারবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিসের মোবাইল অ্যাপস ও গেইমস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল হক অনু ও মোহাম্মাদ শাহজালাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
এসজেডএম