নকল অ্যাপল চার্জারের মারাত্মক ঝুঁকির দিকগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৪০০টি নকল অ্যাপল চার্জারের মধ্যে মাত্র ৩টি প্রাথমিক নিরাপত্তা পরীক্ষায় যথার্থতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।
প্রযুক্তি দুনিয়ায় অ্যাপল বিশেষকরে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, পিসি, ট্যাব দিয়ে সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তিপণ্যের সহায়ক পণ্য-সামগ্রী ক্রেতাদের ক্রয় সামর্থের উপযোগী মূল্যে বাজারে আসেনা।
যেজন্য অনেকরই তাদের অ্যাপল ডিভাইসের জন্য প্রকৃত সহায়ক পণ্যাদি কেনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে অনেক গ্রাহক চাহিদা পুরণে নকল পণ্যকে বেছে নেয়।
এ মুহূর্তের প্রকাশ্যে আসা বিষয়টি নিয়ে বলা হচ্ছে, অ্যাপল ডিভাইসের জন্য চার্জার এমন একটি ভুঁয়া অ্যাকসেরিস যা সচরাচর পাওয়া যায়।
প্রকৃতপক্ষে অনেকগুলো ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন অ্যামাজনে নকল এই অ্যাপল চার্জারে ভরা।
আর এখনকার গবেষণার ফল দেখাচ্ছে, ৪’শ ভুঁয়া অ্যাপল চার্জার যেগুলো অনলাইনে কেনা হয়েছে, যার মাত্র ৩টি মৌলিক নিরাপত্তামূলক বিষয় পরীক্ষায় ঠিক প্রমাণিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকারীরা সম্প্রতিকালে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দিয়েছে নকল চার্জার কেনার সময় সচেতন হতে। কেননা তারা ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসল তখন, যখন ভুঁয়া অ্যাপল চার্জারের প্রায় ৯৩ শতাংশ পর্যাপ্ত ইনসালেশন ছিল না বৈদুতিক শক প্রতিরোধে।
চার্টার্ড ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউটের প্রধান কার্য নিবার্হী লিভারমোর ক্রেতাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে বৈদুতিক পণ্যাদি কেবলমাত্র বিশ্বস্ত সরবরাহকারীদের থেকে কেনার জন্য।
প্রতিবেদনটিতে সিটিজেন অ্যাডভাইসের প্রধান কার্য নির্বাহীরও মূল্যবান পরামর্শ তুলে ধরে বলা হয়, অ্যাপল চার্জার কিংবা যে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক পণ্য কেনার সময় ক্রেতাদের সতর্ক থাকতে হবে।
তার মতে, নকল বৈদ্যুতিক পণ্যগুলো নিম্নমানের হয়ে থাকে এবং নিম্নমানের কেসের মধ্যে এগুলো অনিরাপদ থাকে। সাবধান করে তিনি আরো বলেন নকল করা যেমন ব্র্যান্ড নাম কিংবা লোগোর চিহৃ চিনতে হবে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য প্লাগ পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এসজেডএম