ঢাকা: দীর্ঘ কয়েক মাস পর দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বরাবরের মতোই অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার।
এক মাসের প্রতিবেদন পরের মাসে প্রকাশিত হলেও বিটিআরসি তিন মাস আগের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বুধবার (০৭ ডিসেম্বর)।
সর্বশেষ প্রকাশিত সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬২ হাজার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৫০ লাখ ১৫ হাজার, বাংলালিংকের ২ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার, রবি’র ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার, এয়ারটেলের ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার, টেলিটকের ২৯ লাখ ৮৯ হাজার।
পাঁচটি অপারেটরের তথ্য প্রকাশ করা হলেও সাময়িক বন্ধ থাকা সিটিসেলের গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করেনি বিটিআরসি।
পৌনে ৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকায় গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত ও কার্যক্রম বন্ধ করে কার্যালয় সিলগালা করে দেয় বিটিআরসি। পরে আদালতের নির্দেশে ৬ নভেম্বর তরঙ্গ খুলে দেওয়া হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরের প্রতিবেদনে ছয়টি অপারেটরের সর্বোচ্চ গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার।
ওই মাসে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরুর পর জানুয়ারিতে ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার, মার্চে ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজারে কমে এসে।
এপ্রিল ও মে মাসে গ্রাহক বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ও ১৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৯ হাজার। মে মাসে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর থেকে আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচিতি নিশ্চিত ছাড়া সিম কিনতে পারছেন না গ্রাহকরা। এরপর আবার কমতে থাকে গ্রাহক সংখ্যা।
জুন মাসে ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার, জুলাইয়ে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯ হাজার, আগস্টে কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার গ্রাহক।
বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
সেপ্টেম্বরে মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬২ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার, ওয়াইম্যাক্স ১ লাখ এবং আইএসপি-পিএসটিএন ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার।
আগস্টে মোট ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ৬ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ