এবার ত্রৈমাসিক হিসাবে আগের তুলনায় দ্বিগুণ মুনাফা করেছে লেনোভো গ্রুপ। এ মুহূর্তে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যক্তিগত কমপিউটার নির্মাতা হিসেবে লেনোভোর অবস্থান তৃতীয়।
এ সাফল্যের পেছনে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ অন্যতম সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে প্রাতিষ্ঠানিক সূত্রে জানানো হয়েছে। এছাড়াও অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জার্মানি এবং জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগও এ সাফল্যের অন্যতম কারণ।
এ বছরের গত ৩০ জুন পর্যন্ত মুনাফার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। শেয়ারপ্রতি মুনাফা এসেছে ১.১১ সেন্ট। আর গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এ মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৯৮ ভাগ।
সূত্র মতে, গত বছরের তুলনায় এ মুনাফা বেড়েছে ১৫ ভাগ। মার্কেট শেয়ারের হিসেবে ১২.২ ভাগ। গত বছরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অঙ্কের হিসাবে ৫৯০ কোটি ডলার মুনাফা করে লেনোভো।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে আইবিএমকে পিরি তৈরির হিসাবে পেছনে ফেলে আলোচনার শীষে উঠে আসে লেনোভো। এ ধারাবাহিকতায় এ বছর তাইওয়ানের ব্র্যান্ড অ্যাসারকে টপকে একেবারে তৃতীয় অবস্থানে চলে আসে লেনোভো। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
লেনোভোর প্রধান নির্বাহী ইয়াঙ্গ ইয়াঙ্কইঙ্গ জানান, গত দু বছরের ধারাবাহিক বাজার কৌশলের কারণে লেনোভো এ সফলতা পেয়েছে। ইর্মাজিং এশিয়াসহ ইউরোপভুক্ত দেশগুলোতে কারিগরি বৈশিষ্ঠ্যগুণ আর দ্রুত আধুনিক সেবার পণ্য বিপণনে লেনোভো এ মুনাফা অর্জন করেছে। মূলত তারহীন ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটবান্ধব ট্যাবলেট কমপিউটার তৈরিতে অ্যাপলের সঙ্গে সমতালে প্রতিযোগিতা করছে লেনোভো।
এ প্রতিযোগিতায় আরও ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং এবং তাইওয়ানের এইচটিসি ব্র্যান্ড। কিন্তু এ তিনটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তুলনামূলক কমদামে সর্বাধুনিক স্মার্টফোন তৈরিতে লেনোভো ছিল অপ্রতিরোধ্য। আর তাই সাফল্যও এসেছে লেনোভোর বরাতেই।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১১