বিগত হতে যাওয়া ২০১৬ সালে বিশ্বের অন্যান্য বাজারের মতো বাংলাদেশের হ্যান্ডসেটের বাজারে দেখা গেছে সর্বাধুনিক হ্যান্ডসেট। এ বছর দেশের বাজারে আসা বিদেশি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি দেশীয় ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেটও গ্রাহকদের নজর কেড়েছে।
কেমন গেল চলতি বছরের দেশের মোবাইল ফোনের বাজার তা তুলে ধরা হলো আজকের এই প্রতিবেদনে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছর বেশ কিছু নতুন ফোন এসেছে। যার মধ্যে কম দামের পাশাপাশি ছিল কয়েকটি প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত হ্যান্ডসেট। নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে।
তবে চীনের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি ছিল গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে। ব্যবসায়ীরা ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশী বিক্রি করেছে শাওমি ব্যান্ডের মোবাইল ফোনগুলো।
ক্যামেরা,ডিজাইন,রং,অ্যান্ড্রয়েড সার্ভিস সেইসাথে দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় চীনের এই ব্র্যান্ডের এতো চাহিদার কারণ বলে জানান তারা। সেইসঙ্গে এর সার্ভিস ভালো হওয়ায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। যার ফলে মানুষকে এই ব্র্যান্ড সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে হয় নি। ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন মডেলের মধ্যে সর্বাধিক চাহিদা ছিল শাওমি ‘নোট৩ প্রো’তে।
বিদেশী ব্র্যান্ডের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে ছিল দেশি ব্র্যান্ড সিম্ফনি। অল্প দামে ভালো মান, অসংখ্য ডিজাইন এবং রঙের ভিন্নতার কারণে বিক্রিতে এগিয়েছে সিম্ফনি। সিম্ফনির যে মডেলগুলোর চাহিদা বেশী ছিলো সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য “পি৬,আই১০ এবং বি৭৫”। এগুলোর দামও ক্রয়সাধ্যের মধ্যে (৫ হাজার থেকে ৮ হাজার)।
দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফোনগুলোরও বিক্রি হয়েছে ভাল। তবে ডিজাইন এবং রঙ স্বল্পতার কারণে সিম্ফনির মতো ওতোটা জনপ্রিয় হয়নি। এছাড়া ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার স্মার্টফোনগুলোরও বিক্রি ভাল হয়েছে। বিশেষকরে এগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম থাকায় ডিমান্ড বেশী ছিল বলেও জানান তারা।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড স্যামসাং হ্যান্ডসেটের বেচাকেনা বছরের প্রথম দিকে ভাল থাকলেও ‘স্যামসাং নোট৭’ বিস্ফোরণ ঘটনার পর থেকে বিশ্বের অন্যান্য বাজারের মতো বাংলাদেশেও বিক্রির পরিমান কম ছিল বলেও জানান বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমআইটি/এসজেডএম