কিন্তু এ ঘটনার স্বপক্ষে এখনো শক্ত কোনো প্রমাণ হাতে পাচ্ছে না তারা। এ মূহূর্তে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং এফবিআই যৌথভাবে যে তদন্ত করেছে, সেখানে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত এবং অকাট্য কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে তদন্তে তারা হ্যাকিংয়ে ব্যবহৃত আইপি অ্যাড্রেস ও পিএইচপি ম্যালওয়ারের নমুনা উদ্ধারে সমর্থ হয়েছে। তদন্ত দল এটাও জানতে পেরেছে, হ্যাকিংয়ের জন্য বেশ পুরনো ভার্সনের আট্যাকিং সফটওয়্যার পিএএস ৩.১.০ ব্যবহার করা হয়েছিল। আর হ্যাকিংয়ের কোড লেখা হয়েছে ইউক্রেন থেকে।
তদন্তে এত কিছু জানা গেলেও রাশিয়ার সরাসরি জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না।
তবে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা থেমে নেই দেশ দুটির মধ্যে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনে রাশিয়ার প্ররোচনার বিষয়টি আমলে নিয়ে বারাক ওবামা নিজ দেশ থেকে ৩৫জন রাশিয়ান কূটনীতিকদের বহিস্কার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিক্রিয়ায় ফুঁসে রয়েছে রাশিয়া।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার আলাদা নজর যেন চোখ এড়াচ্ছে না কারোই।
উল্লেখ্য, হিলারি এবং ডিএনসি’র মেইলগুলো হ্যাকের একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। তা হলো নির্বাচনকালীন সময়ে ট্রাম্প একটি টুইটের মাধ্যমে রাশিয়ার কাছে আবেদন করেছিলেন, তারা যেন হিলারির ইমেইল হ্যাক করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করে।
ঠিক তার কয়েক দিনের মধ্যেই হ্যাক হয় হিলারি এবং ডিএনসি’র ইমেইল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমএডি/এসজেডএম