রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর জনতা টাওয়ারের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট পার্কে তিন পক্ষের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।
আইসিটি ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল বনমালী ভৌমিক, রবি’র চিফ করপোরেট অ্যান্ড পিপলস অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদ এবং টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আয়মান সাদিক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সচিব শ্যামসুন্দর সরকার।
আয়মান সাদিক জানান, চুক্তির আওতায় মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করতে শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ১টি ডিজিটাল ল্যাব এবং ৩০ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে টেন মিনিট স্কুলের ডিজিটাল এডুকেশন কন্টেন্ট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হবে।
এ ছাড়া চুক্তির আওতায় আইসিটি বিভাগ, রবি ও টেন মিনিট স্কুল’র উদ্যোগে আইসিটি বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দেশজুড়ে হাইটেক পার্কগুলোতে ন্যানো ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প তরুণদের মধ্যে তাদের ডিজিটাল এডুকেশন কন্টেন্টটি তুলে ধরবে রবি-টেন মিনিট স্কুল।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অংক, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের মতোই বেসিক আইসিটি’র একটা ট্রেনিং বা শিক্ষা থাকা দরকার। তা নাহলে পৃথিবীতে টিকে থাকা বা সফল হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। সে উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ আইসিটি ডিভিশন, রবি ও টেন মিনিট স্কুলের মধ্যে যে চুক্তি সই হলো- তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস আজকের এই চুক্তি সই’র কারণে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে আমাদের সামর্থ্য আরো বাড়বে।
মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, টেন মিনিট স্কুল কোনো দান নয়, এটা একটা সেবা। এর মধ্য দিয়ে রবি টিকে থাকবে, মানুষ টিকে থাকবে।
তিনি বলেন, যত দান আছে তার মধ্যে বিদ্যা দান হচ্ছে সবচেয়ে মহৎ। টেন মিনিট স্কুল সেই বিদ্যা দানের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে রবি গর্ববোধ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এজেড/আরআইএস/এটি