ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নাক ডাকা বন্ধ করবে ‘স্মার্ট বেড’

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
নাক ডাকা বন্ধ করবে ‘স্মার্ট বেড’ স্মার্ট বেড

ঘুমের ঘোরে নাক ডাকা অনিচ্ছাকৃত হলেও অন্যদের কাছে এটা খুবই বিরক্তকর একটা ব্যাপার। দেখা যায় প্রচন্ড নাক ডাকার ফলে বিছানার আশপাশের অন্যরা বিরক্তকরভাবে জেগে উঠে। কিন্তু ঐ সময় কাজটি যে করছেন সে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ঘুমে বিভোর।
 

তবে প্রযুক্তির এই যুগে উদ্ভাবকরা বিদ্যমান কোনো সমস্যায় যেন আর সমস্যা হিসেবে দেখতে চান না। তাইতো নাক ডাকা বন্ধ করতে তাদের মাথায় এসছে নতুন চিন্তা।

সেই চিন্তা থেকে তারা তৈরি করেছে স্মার্ট বেড যা ঘুমন্ত মানুষের শরীলকে সমন্বয় করতে সক্ষম।

নব এই উদ্ভাবনা বা স্মার্ট বেড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুমন্ত ব্যক্তির নাক ডাকা খুঁজে নিয়ে তার শরীলকে নাড়াতে পারে এবং অবস্থান ঠিক করতে পারে। এজন্য ৩৬০ স্মার্ট বেডটি ভিন্ন ভিন্ন শরীলের অবস্থান ঠিক করতে মেট্রেসকে যথাযতভাবে সেট করে।

কাজটি করতে স্মার্ট বেডের দরকার হয় ব্যবহারকারীদের ঘুমানোর অভ্যাস সম্পর্কে জানা এবং কোন সময়টা তারা ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করে তা জেনে জাগিয়ে তোলা।

এছাড়া এটি নাক ডাকার শব্দ শনাক্ত করে এবং বায়ু তরঙ্গ পরিস্কারের জন্য ঘুমন্ত ব্যক্তির মাথা কয়েক ডিগ্রি উপরের দিকে তোলে। এমনকি এটি ব্যবহারকারী বা মালিকের পায়ের পাতা গরম করে এবং তাদের ঘুমানোর অভ্যাস সম্পর্কিত তথ্য অ্যাপে পাঠাতে পারে।

স্লিপ নাম্বার নামের একটি মেট্রেস কোম্পানি তৈরি করেছে এই ৩৬০ স্মার্টবেড। এ বছর থেকে পণ্যটি বিক্রির আশা করছে তারা।

চলতি বছরে অনুষ্ঠিত লাস ভেগাসে সিইএস ইভেন্টে উন্মোচন করা হয় স্মার্টবেডটি যেটার লক্ষ্য মানুষের ঘুমের উন্নতি ঘটানো। স্লিপ টেক বা ঘুম প্রযুক্তির পরিকল্পনার তালিকায় স্থান করে এই বেড। এসব উদ্ভাবনার নকশা এমনভাবে করা যা বিশেষকরে যারো সময়ের অভাব খুব বেশি বোধ করেন তাদের সাহায্যে। যাতে তারা ক্রমবর্ধমান ব্যস্ত জীবনে অবকাশ খুজে পান।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান ইভেন্টে প্রদর্শিত এসব অভিনব পণ্যের বিক্রি আগামী বছরে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। ৫০ বছরের এই সিইএস’তে প্রথমবার “স্লিপ টেক মার্কেটপ্লেস” এর আর্বিভাব। যেখানে ছিল সাইলেন্ট অ্যালার্ম যেটা নি:শব্দে তাদের ব্যবহারকারীদের জাগায়, স্মার্ট লাইট যেটা সূর্যোদয় নকল করে, ফিটনেস ট্র্যাকার যেটা গণনা করতে পারে তার ব্যবহারকারী কতবার মধ্যরাতে জেগেছে।

কনজ্যুমার টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন এর প্রধান কার্যনির্বাহী গ্যারি শাপিরো বলেছেন, এই আয়োজনে তিনি পরিধেয় পণ্যের ব্যাপক বৃদ্ধির দিকটি দেখেছেন। যার মধ্যে ঘুমের উন্নতির জন্য রয়েছে নানা উদ্যোগ।

এদিকে স্লিপ কাউন্সিলের তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধ সংখ্যক মানুষ প্রতি রাতে ৬ ঘণ্টার নিচে ঘুমায়। বিগত কয় বছরে এই সমস্যা মানুষের শাস্থের উপর প্রভাব ফেলেছে দীর্ঘমেয়াদী এবং পর্যাপ্ত না ঘুমানো মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।

পরিধেয় পণ্য নিয়ে প্রযুক্তি গবেষণাকারী গার্টনার বলছে, যুক্তরাজ্যে ৬ জন মানুষের মধ্যে প্রায় ১ জনেরই নিজের ফিটনেস ট্রেকার আছে। কিন্তু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও বেশীরভাগ মানুষ এগুলোকে কয় মাস পরই প্রত্যাখান করছে। কারণ তারা এসব ডিভাইসে দরকারী কিছু খুঁজে পাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।