রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে শুক্রবার অনুষ্ঠিত সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস এলায়েন্সের গ্লোবাল ট্রেড কমিটির চেয়ারম্যান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড এবং ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ ইউসুফ এম ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল কবির, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, সিওর ক্যাশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহাদাত খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সাথে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার ধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন যুগোপযোগী কোর্স কারিকুলাম পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য ২০১৬-২০২৬ সাল পর্যন্ত দশ বছরের একশান প্ল্যানও নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নয় বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে সব বিষয়ের কোর্সে পরিবর্তন আনা হবে আর এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুরোকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন থেকে যে কোন বিষয় অনুমোদনের পূর্বে পরিবর্তনগুলো কোর্সে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অঅহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে ৪ লাখ বিদেশী কাজ করছে যারা প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে।
আগামীতে আমাদের দেশের ছেলেরাই যোগ্যতার ভিত্তিতে এ ৪ লাখ লোককে প্রতিস্থাপন করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে সবুর খান বলেন, রুপকল্প ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট সিটি টেকনোলজি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্য সেবার বিকাশ বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণ অনিবার্য। আর তা শুধুমাত্র একাডেমিক, সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই সম্ভব।
সুবর খান বলেন, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি সুপারিশমালায় ডিজিটাল ন্যাশন, ডিজিটাল এজেন্ডা ও দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল সেবার উপরই আলোকিত ও প্রস্তাবিত। এসবের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাই পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এসজেডএম