এসেছে ডিজিটাল মিডিয়ার সময়। প্রিন্টের তুলনায় এখন চলছে ডিজিটাল মিডিয়ার রাজত্ব।
এ নতুন প্রজন্মের জন্য বয়স কোনো নিয়ামক নয়। সামাজিক মিডিয়ার অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতির উত্তাপে ব্যবসায়িক অঙ্গনেও ডিজিটাল মিডিয়ার কদর বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে গ্রাহক, ব্যবসা আর বিজ্ঞাপন।
এ মুহূর্তে সবচেয়ে অগ্রগামী ব্যবসার শীর্ষে আছে ডিজিটাল মিডিয়া। এ ব্যবসার পরিসীমাও বাড়ছে প্রতিমুহূর্তে। অপ্রতিরোধ্য এ মাধ্যম ব্যবসায় জন্ম দিচ্ছে নিত্যনতুন সম্ভাবনা।
আইবিএম কৌশল বিভাগের সহসভাপতি সোল বারমেন জানান, এখন ভোক্তারা মাল্টিপল ডিজিটাল পণ্য ব্যবহার করে। ফলে অনলাইন বিপণন কনটেন্টের চাহিদা বাড়ছে। একটি পণ্য মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী তার চাহিদার জাল বিস্তার করছে সামাজিক নেটওয়ার্কের ঘাড়ে চেপে। এমনকি টুইটারও এ প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
কমস্কোর গবেষণায় প্রকাশ, এ মুহূর্তে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৩৮ ভাগ গ্রাহকের বয়স ৪৫ থেকে ৫৪ বছর। অন্যদিকে ৪২ ভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীর বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
তরুণদের সামাজিক বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে সহায়তা করেছে সামাজিক নেটওয়ার্ক। এখন প্রতি মুহূর্তের যে কোনো ঘটনা তাৎক্ষণিক সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় তা গণবিস্ফোরণেরও জন্ম দেয়। সাম্প্রতিক কতগুলো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অন্তত এ কথাই বলে।
স্টারকম মিডিয়া ভেস্ট গ্রুপ সূত্র জানিয়েছে, মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই সঠিক বার্তা দিয়ে বিজ্ঞাপণী তথ্যকে আরও স্বাধীন এবং সক্রিয় করতে হবে। দ্বৈত ব্র্যান্ড কৌশল এক্ষেত্রে অনেক সফলতার নজির স্থাপন করেছে।
ইকো-সিস্টেমের প্রভাবে মিডিয়ায় ডিজিটাল প্রজন্মের অংশগ্রহণ এখন অপ্রত্যাশিত। এ প্রজন্মই তথ্যকে বাণিজ্যিক রূপান্তর চক্রে ফেলে রাষ্ট্রের জন্য রাজস্ব খাত তৈরি করছে।
ইনোসাইটের এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট অ্যানটনি জানান, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং ক্ষেত্র তৈরি ব্যবসার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী নিয়ামক। এটি ব্যবসায় বাড়ন্তে কার্যকরী। এখন ব্যবসার জন্য শুধু কিছু আঙুলের সঠিক স্পর্শই যথেষ্ট।
বারমেন জানান, এখন ভ্যালু চেইন তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা এক সেবা থেকে আরও অনেক সেবা পেতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে সাপ্লাই চেইনের পরিবর্তে ইনফো চেইনের কদর বাড়ছে।
এ অর্থে মোবাইল অপারেটরা এ সময়ের ব্যবসা প্রসারে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। পণ্যতথ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় সংস্কৃতিতে এখন ডিজিটাল মিডিয়া সবচেয়ে সক্রিয়। তাই ব্যবসার প্রচারগুলোও হয়ে উঠছে ডিজিটালমুখী।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্টারকম মিডিয়া গ্রুপের সিইও জেফরি সিহ জানান, রাজস্ব বাড়াতে ‘বিজনেস টু বিজনেস’ কৌশলের তুলনায় ‘বিজনেস টু কনজিউমার’ কৌশল এখন কার্যকর। এ পদ্ধতির ফলে শিক্ষিত গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ে। আর তা ব্যবসায় গতি নিয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময় ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১১