কেবল দেশে নয়, বিশ্ববাজারে প্রোগ্রামারদের দারুণ চাহিদা রয়েছে। আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে এই অসাধারণ ও অনন্য সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাকাথন-২-এ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধান ও জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব বলেন।
বেসিস সভাপতি আরও বলেন, অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে সফটওয়্যার মানেই কেবলমাত্র কোডিং। কিন্তু কোডিং আসলে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে খাতের একটি অংশ মাত্র। একটি সফটওয়্যার তৈরির জন্য সমস্যাটা বোঝা, তার সমাধানটা খুঁজে বের করা, ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসটাকে তৈরি করা ম্যানুয়েল তৈরি করা বা ডকুমেন্টেশন করা, সাপোর্ট দেয়া ইত্যাদি নানা কাজ রয়েছে।
আমাদের প্রোগ্রামারদেরকে কোডিংসহ সকল বিষয়েই দক্ষ হতে হবে। এমনকি কোডিং জানেননা তারাও সফটওয়্যার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারেন। কিন্তু যে সমাধান মানুষের কাজে লাগেনা সেটি উদ্ভাবন করে কোন ফায়দা নেই।
ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ আইসিটি অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্ট্রেনদেনিং ইউনিটের পরিচালক কেএএম মোর্শেদ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ফিন্ড অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক দেবাশিষ সাহা, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস প্রি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন ও অধ্যাপক সাবিনা ফয়েজ রশিদ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
অতিথিরা ব্র্যাকাথন শীর্ষক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১১টি দলের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিজয়ীদের প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও ৫ হাজার ডলার অনুদান দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এসজেডএম