ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কার্টুন চ্যানেল বন্ধে পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
কার্টুন চ্যানেল বন্ধে পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত তথ্য মন্ত্রণালয় লোগো

ঢাকা: ফেসবুকের পাশাপাশি কার্টুন চ্যানেল রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।  

রাত জেগে কার্টুন চ্যানেল দেখায় শিশু শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং পাঠে পরিপূর্ণ মনোযোগ না আসার প্রেক্ষাপটে ক্যাবল টিভিতে কার্টুন চ্যানেল বন্ধের বিষয়ে মতামত চাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গত বছরে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা মতবিনিময়কালে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেসবুক ও কার্টুন চ্যানেল বন্ধের অনুরোধ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মধ্যরাত থেকে ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধের পাশাপাশি ক্যাবল টিভিতে কার্টুন চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে গত ২৩ মার্চ মতামত চেয়েছিলো।

চিঠিতে বলা হয়, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের বিনোদনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কার্টুন চ্যানেল। কার্টুন চ্যানেলগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার ফলে শিশুরা গভীর রাত পর্যন্ত কার্টুন দেখছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় পাঠে পরিপূর্ণ মনোযোগ দিতে পারছে না তারা। এতে শিশু-কিশোরদের শারীরিক মানসিক স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।

সুস্থ-সবল ও কর্মক্ষম জাতি গড়ার লক্ষ্যে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেসবুক এবং ক্যাবল টেলিভিশনে কার্টুন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখা যায় কিনা- সে বিষয় মতামত চাওয়া হয় চিঠিতে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিলো।

এ ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (টেলিভিশন) মো. আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মাত্র চিঠি পেয়েছি। কার্টুন চ্যানেল বন্ধের কারণগুলো পর্যালোচনা করে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশ্নে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, কারিগরি ও অর্থনৈতিক কারণে মধ্যরাতে ফেসবুক বন্ধ করা সম্ভব না।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪,২০১৭
এমআইএইচ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।