ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার নিরাপত্তায় ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
সাইবার নিরাপত্তায় ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে দিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর;ছবি- বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয়া দিল্লি’র দফতরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শীর্ষ বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। যার মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট।

এতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করবে ভারত-বাংলাদেশ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছেরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

দুটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে একটি সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও অন্যটি আইটি/আইটিএস খাতের উন্নয়নে সার্বিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত।

সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তিটি বিডি সার্ট (বাংলাদেশ সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম) ও সার্ট ইন (সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম- ইন্ডিয়া) এর মধ্যে সম্পাদিত হয়। চুক্তির আওতায় বিডি সার্ট ও সার্ট-ইন সাইবার নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচন ও সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করবে।

অন্য সমঝোতা স্মারকটি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ভারতের ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের সাথে স্বাক্ষরিত হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে ই-গভার্নেন্স, এম-গভর্নেন্স, ই-লার্নিং, টেলিমেডিসিন খাতে পারস্পরিক অত্যুত্তম পদ্ধতিগুলো (বেস্ট প্র্যাকটিস) শেয়ার করা; গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট এনাবল্ড কিয়স্ক বা কমন সার্ভিস সেন্টার স্থাপন; বিপিও/বিপিএম/কেপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং/বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট/ নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিং) এবং হাইটেক পার্ক/ সফটওয়্যার পার্ক ইত্যাদি ও আইটি সার্ভিস সংক্রান্ত শিল্পের নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা; দুদেশের আইটি সংগঠনগুলোর মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস অংশীদারিত্ব বাড়ানো; গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনে দু’দেশের সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন; কর্মশালা, সেমিনার, বিশেষজ্ঞ পরিদর্শনসহ নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রদর্শনী আয়োজন করা; স্টার্টআপস/উদ্ভাবন উন্নয়নে পারস্পরিক বিশেষায়িত সহযোগিতা অব্যাহত রাখা।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
ইইউডি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।