শনিবার (০৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অ্যাকসেঞ্চার এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ করা হয়।
মানববন্ধনে বলা হয়- অ্যাকসেঞ্চার ও টেলিনর তাদের অংশীদারিত্বের ব্যবসায় পরস্পরের প্রতি দোষারোপ, অস্বচ্ছতা ও ব্যবসায়িক দুরভিসন্ধির কারণে অ্যাকসেঞ্চার বাংলাদেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়, এ (অ্যাকসেঞ্চার বন্ধ করা) সিদ্ধান্ত নেওয়া বিদেশি কর্মকর্তারা গত ১৬ জুলাই রাতের অন্ধকারে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর কোনো কারণ দর্শন না করেই গভীর রাত ২টার দিকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়েছে।
অথচ দেশের আইসিটি সেক্টরে যুগান্তকারী পরিবর্তনের কথা বলে মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বপ্ন দেখিয়ে জোরপূর্বক এবং কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে গ্রামীণফোন সরিয়ে ২০১০ সালে গ্রামীণফোন আইটি (জিপিআইটি) কোম্পানি গঠন করে গ্রামীণফোন ও টেলিনর।
প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ৫৩৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে। অ্যাকসেঞ্চার ও টেলিনর ম্যানেজমেন্টের এরকম হতচকিৎ সিদ্ধান্ত এবং কর্মকর্তাদের রাতের আন্ধকারে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হতবিহ্বল করেছে। কর্মীদের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের বিমাতাসুলভ আচরণ ও প্রতারণা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
২০১৪ সালে বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসেঞ্চার গ্রামীণফোন আইটি কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করে এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে অ্যাকসেঞ্চার কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সল্যুশন লিমিটেড (এসিআইএসএল) নামে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
এসই/জেডএস