ফোরজির রোলআউট নিয়ে বুধবার(২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে টেলিটকের প্রস্তুতি সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম একথা বলেন।
তিনি বলেন, টেলিটকের ক্ষেত্রে আমরা এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে প্রথমে ফোরজি সেবা দিয়ে শুরু করবো।
টেলিটকের দু’টি প্রকল্পের অর্থ ছাড় না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটকের ক্ষেত্রে আমদের একটু দুঃখ তো আছেই। কারণ আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠান। এই দেশের প্রতিষ্ঠানের মার্কেট আছে। কিন্তু আমাদের যে দুটি প্রজেক্ট, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এখনও অর্থ ছাড় হয়নি। আমরা তদবিরের মধ্যে আছি। যদি আমাদের প্রতি মাতৃসুলভ দৃষ্টি, যেমন প্রধানমন্ত্রীর আছে। অনুমোদিত দুটি প্রকল্প একনেকে দু’বার উঠানোর পরে প্রধামন্ত্রীর অনুশাসন রয়েছে। আমরা আশা করি এটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এই অর্থ ছাড় করা হবে।
তারানা হালিম বলেন, অর্থ ছাড় করা হলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট হবে। আমরা টেলিটকের যতো ইক্যুপমেন্ট আনছি, থ্রিজির আনছি না। ইতোমধ্যে সবই ফোরজির এনেছি। নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করার জন্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এতোটা সমত্বের সাথে দেখেন, ওন করেন। সেই টেলিটকের অর্থ দেড় বছরেও ছাড় করতে পারছি না। এখনও আশার আলো মনে হচ্ছে না। দেশি প্রতিষ্ঠান কীভাবে টিকবে? আমাদের তো টেকাতে হবে। আমার হাতে তো আলাদীনের চেরাগ নাই যে রাতারাতি নেটওয়ার্ক উন্নত করবো।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী ও সচিবকে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের এই প্রকল্প ছাড় না করলে কীভাবে নেটওয়ার্ক উন্নত করবো। বাকী যা কিছু আছে রিটেইলার, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার- সব কিছু করেছি।
‘আমি বার বার ইমফেসেস দিয়েছি, টেলিটক যদি দাঁড়িয়ে যায় আমি সবার প্রতি সমান আচরণ করবো। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমরা টেলিটকে শ্রম দিতে রাজি আছি। চেষ্টা দিচ্ছি। টেলিটককে ফেবার করার কেনো ইচ্ছা নাই। প্রতিযোগিতা করে টেলিটক তার নিজের পায়ে দাঁড়াবে। সে কারণে অন্য অপারেটরের মতো টেলিটককে ফোরজি নিতে হবে। আমি অভিভাবক হিসেবে আলাদা আচরণ করতে পারি না। এভাবে আমরা প্ল্যানিংটা করেছি।
দুটি প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি ফোরজির জন্য। সেটিও আলোর মুখ দেখছে না। এবং আর একটি ৬১০ কোটি টাকার, যেটি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করার জন্য। একনেকে দু’বার অনুমোদনের পরেও অর্থ ছাড় এখন পর্যন্ত হয়নি।
‘আমার হাতে দেড় বছর আছে। আমি টেলিটককে দাঁড় করাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমি হতাশ হতে চাই না। আমি অনুরোধ করবো অর্থ মন্ত্রণালয় যেন হতাশ না করে। হতাশ হয়ে গেলে টেলিটক এ পর্যন্ত যা অর্জন করেছে তা স্থবির হয়ে যাবে। তাই আমি অপটিমিস্টিক হতে চাই, ওনারা যেন দ্রুত অর্থটা ছাড় করেন। আমি যেন দ্রুত টেলিটককে উপযোগী করে তুলতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম