আয়োজক সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে আইসিটি এক্সপোর ভেন্যু।
তিন দিনব্যাপী এ মেলায় দেশি-বিদেশি ৮৭টি অংশ নিচ্ছে।
তবে প্রথম দিন হওয়ায় মেলার সবগুলো স্টল এখনো প্রস্তুত হয়নি। বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি এখনো তাদের স্টল সাজানোর কাজ করছেন। আর এরইমধ্যে যেসব স্টল প্রস্তুত হয়েছে সেগুলোতে দর্শনাথীর ভিড়।
দেশি কোম্পানি ওয়াল্টন, বিদেশি পণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল, গ্লোবাল ব্রান্ড, এইচপি, আসুস, টিপলিং, ডাহুয়া টেকনোলজিসহ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ও স্টলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
ড্যাফোডিল প্যাভিলিয়নের সামনে কথা হয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ'র ছাত্র মেহেদী হাসানের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আইসিটি এক্সপোতে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং এখান থেকে নতুন নতুন আইডিয়া ক্রিয়েট করা।
এ বিষয়ে কথা হলে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক বাংলানিউজকে বলেন, মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো বাজার আসা নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা। মেলায় তরুণদের অংশগ্রহণ দেখে মনে হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য সফল হতে চলছে।
এর আগে সকাল ১১টা বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭ উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে মেলায় প্রবেশের জন্য অনলাইনে অথবা মেলার ভেন্যুতে গিয়ে রেজিস্টেশন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এজেড/ওএইচ/