সর্বশেষ তথ্য বলছে, টেক জায়ান্ট অ্যাপলের এই লেটেস্ট স্মার্টফোনটি আগামী ০৩ নভেম্বর বাজারে আসছে। অগ্রিম অর্ডার দেয়া যাবে ২৭ অক্টোবর থেকে।
তবে গ্রাহকদের জন্য একটা মধুর দুঃসংবাদও আছে। যাত্রা শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই বাজারে পণ্যটির সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অ্যাপল-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ নভেম্বর বাজারে সর্বোচ্চ মাত্র লাখ তিনেক আইফোন-টেন সরবরাহ করতে পারছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ ২০১৫ সালে বাজারে ছাড়ার দিনেই এককোটি ৩০ লাখ আইফোন-সিক্সএস বিক্রি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আইফোনের নতুন তিনটি মডেল উন্মোচন করেন অ্যাপল-প্রধান টিম কুক। অগ্রিম অর্ডারে বিশেষ কিছু সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠাটি। আইফোনের নতুন তিনটি মডেলের সাথে এর পুরনো কোন মডেল সাশ্রয়ী মূল্যে বদলে নেয়ার আকর্ষণীয় অফার দেয়া হয়েছে। আইফোন আপগ্রেডেশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভূক্ত গ্রাহকরা এ সুযোগটি পাবেন। আগামী ২৩ নভেম্বর, সোমবার থেকে এই প্রোগ্রামের অন্তর্ভূক্ত গ্রাহকদের অগ্রিম অর্ডার অনুমোদন শুরু হচ্ছে।
গত মাসের উন্মোচন অনুষ্ঠানে অ্যাপল টিমের সদস্যরা বলেছিলেন, আইফোন-টেন মোবাইল ফোন প্রযুক্তিতে এক নবযুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। কিন্তু স্মার্টফোনটি বাজারে আসার আগেই এর বেশ কিছু দুর্বলতা চিহ্নিত করেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে মডেলটির ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তিটির সক্ষমতা নিয়ে নানা মুনির নানারকম সংশয়।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাওয়া সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, শুরুতে ২০ থেকে ৩০ লাখ হ্যান্ডসেট বাজারে সরবরাহ করবে। তবে উৎপাদন সংক্রান্ত জটিলতায় বাজারে যথেষ্ট সংখ্যক হ্যান্ডসেট ছাড়তে কিছুটা সময় লাগবে। তবে নভেম্বর মাসের মধ্যেই সমস্যাটির একটি স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে।
অ্যাপলের এশিয়া অঞ্চলের সাপ্লাই-চেইন অ্যানালিস্ট মিং চি কুয়ো জানিয়েছেন, আইফোন-টেনের মধ্যে এখনো অল্পস্বল্প কম্পোনেন্ট সংযুক্তির কাজ বাকি আছে। এর অ্যান্টেনা সিস্টেমের জন্য নমনীয় সার্কিটবোর্ড বসানোর কাজ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় প্রোডাকশনে কিছুটা ধীরগতি। একাজটা সম্পন্ন হয়ে গেলেই প্রোডাকশন আবার বেশ গতি পাবে।
এর ফেস আইডি প্রযুক্তির কিছু ত্রুটি নিয়েও এখনো কাজ চলছে। আইফোন-টেনের নতুন সংযুক্তি বহুল আলোচিত এই ফেস আইডি। ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরার সাহায্যে এ প্রযুক্তিটি মানুষের মুখমণ্ডল স্ক্যান করতে সক্ষম। ফোনের লক খুলতে ব্যবহারকারী স্ক্রিনের দিকে তাকালেই যথেষ্ট। ফেস আইডি মুখমণ্ডল স্ক্যান করার জন্য ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যবহার করে, তাই অন্ধকারেও তা একশভাগ সঠিক কাজ করবে।
তাইওয়ানের একজন প্রযুক্তি বিশ্লেষক জেফ পু আশংকা করছেন, বাজারে আইফোন-টেনের ঘাটতি বড় ধরনের সমস্যায় ফেলতে পারে অ্যাপলকে। এবছর কমপক্ষে তিন থেকে চার কোটি আইফোন-টেন তৈরি করার কথা ছিল তাদের।
অ্যাপল জানিয়েছে, এবছরে আইফোন-টেন তৈরির সম্ভাব্য সংখ্যা হতে যাচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি। আশা করা যায়, প্রোডাকশন সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়ে গেলে খুব শিগগিরই আশানুরূপ বিপুল মুনাফা বাগিয়ে নিতে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া আগামী দুই বছর আইফোন-টেন নিরাপদে আর বহাল তবিয়তে বাজার শাসন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়:২০১৪ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম