ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ‘৮ম এপিটি সাইবার নিরাপত্তা ফোরামের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ সংস্থার (এপিটি) উদ্যোগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সাইবার ক্রাইম বর্তমানে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিকভাবেই একে মোকাবেলা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
সাইবার ক্রাইম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে সাইবার বুলিং হচ্ছে। ইন্টারনেটে আপত্তিকর বিষয়ের জন্য অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এজন্য ব্যবহারকারী দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে তাদের পলিসি সংশোধন করতে হবে।
ফোরামে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর উদ্দেশ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য যেমন ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে তেমনি নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার উদ্যোগে নিতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা অগ্রগতি করলেও সাইবার নিরাপত্তায় পিছিয়ে আছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে কারিকুলাম যুক্ত করার জন্য বিটিআরসিকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তায় বিটিআরসি সাইবার নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ বিটিআরসির নিজস্ব গবেষণা ও ফরেনসিক ল্যাব থাকা দরকার।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় এই ফোরামের মাধ্যমে অংশীজনরা দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।
অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির উপ-মহাসচিব মাসানোরি কন্ডো (Masanori Kondo) স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি, আইন প্রয়োগকারী ও নিরাপত্তা সংস্থা, টেলিকমের বিভিন্ন সেক্টরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, কোরিয়া, মালেশিয়া, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, টোঙ্গা, ভানুয়াতুসহ ১৪টি সদস্য দেশ, সহযোগী সদস্য দেশ, সম্পর্কযুক্ত সদস্য সংস্থা এবং অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ